বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ এবং মানবপাচারের মামলায় শর্তসাপেক্ষে অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। মামলায় অভিযুক্ত সুমন শেখ নিজেও বাংলাদেশি বলে দাবি তদন্তকারীদের। যদিও অভিযুক্তের দাবি, তাঁর জন্ম উত্তরপ্রদেশে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এনকে সিংহের বেঞ্চে তাঁর জামিনের মামলাটি ওঠে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মামলায় বিচার শেষ হতে এখনও পর্যাপ্ত সময় লাগবে। এই অবস্থায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য অভিযুক্তকে জেলবন্দি করে রাখা যায় না বলে মনে করছে আদালত।
অভিযুক্ত সুমনের আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল গত দেড় বছর ধরে জেলবন্দি রয়েছে। মামলায় ৪৩ জন সাক্ষী রয়েছেন। মামলায় বিচারে দেরি হওয়ার কারণে জামিনের আর্জি জানান তিনি। সরকারপক্ষের তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি। তিনি জানান, বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেন সলিসিটর জেনারেল।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বর্তমানে মামলার তদন্তভার রয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আবেদনকারী নিজেই বাংলাদেশি বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি ১৫ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন বলে অভিযোগ। এখন তিনিই অন্যদের ভারতে প্রবেশ করতে সাহায্য করছেন বলে অভিযোগ। তবে অভিযুক্ত জানাচ্ছেন, তাঁর জন্ম হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। এই মামলার নিষ্পত্তি হতে এখনও সময় লাগবে। ফলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য তাঁকে আটকে রাখা সঠিক হবে না। এই অবস্থায় শর্তসাপেক্ষে অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, জামিন পেলেও অনুমতি ছাড়া অভিযুক্ত কর্নাটকের বাইরে যেতে পারবেন না। তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখা হবে এবং সপ্তাহে এক দিন করে এনআইএ-র দফতরে হাজিরা দিতে হবে অভিযুক্তকে।