ছবি: সংগৃহীত
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত বর্ষ এবং সিমেস্টারের পরীক্ষা বাতিল করার বিষয়ে রায়দান আপাতত স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকে নির্দেশ দিল তিন দিনের মধ্যে নিজেদের যাবতীয় বক্তব্য লিখিত ভাবে জমা দিতে। তবে তার আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের বক্তব্য শুনল সর্বোচ্চ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ।
বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন ওই বেঞ্চের সামনে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধি জয়দেব গুপ্তের বক্তব্য ছিল, ২৭ জুন ইউজিসির জারি করা নির্দেশিকা মেনে রাজ্যের অনুদান প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ঠিক করেছিল যে, এই করোনা-কালের বাধ্যবাধকতা মাথায় রেখে পুরনো পরীক্ষার নম্বরের ৮০% এবং অভ্যন্তরীণ (ইন্টার্নাল) পরীক্ষার ২০% নম্বরের ভিত্তিতে এ বছরের মতো চূড়ান্ত বর্ষ ও সিমেস্টারের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যাবে। কিন্তু তাতে বিচারপতি ভূষণের মন্তব্য, এমন সমাধান সূত্রের অনুমতি দিতে গেলে তো আগে কোন নিয়মের ভিত্তিতে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় একই ভাবে মূল্যায়ন করবে, তা ঠিক করা জরুরি। যদিও তার পরেও আমপানের পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, করোনার এই সময়ে পরীক্ষার সময়ে অপর্যাপ্ত গণ-পরিবহণ কী ভাবে সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে, সে বিষয়টিও তোলা হয়েছে রাজ্যের পক্ষ থেকে।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের প্রশ্ন, বর্তমানে সকলে যে অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মুখোমুখি, বাধ্যতামূলক পরীক্ষার নির্দেশিকা জারির সময়ে ইউজিসি তা মাথায় রেখেছে কি? জনস্বাস্থ্যের তোয়াক্কা না-করে কি এমন নির্দেশিকা জারি করতে পারে তারা? বিভিন্ন রাজ্য থেকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নিলে, তাঁরা এই পরীক্ষা নেওয়ার ছাড়পত্র দিতেন কি? তাঁর অভিযোগ, এক-এক রাজ্যের পরিস্থিতি এক-এক রকম। অথচ সে সব মাথায় না-রেখে একতরফা ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার ওই নির্দেশিকা জারি করেছে ইউজিসি। কিন্তু তাতে বিচারপতি ভূষণ বলেন, স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনেই যে পরীক্ষা নিতে হবে, তা স্পষ্ট লেখা রয়েছে ইউজিসির নির্দেশিকায়। ফলে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি তারা মাথায় রাখেনি, এমন বলা যায় কি? কিশোরের বক্তব্য, সে ক্ষেত্রে আদালতের সামনে মাথা নোয়াচ্ছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy