Advertisement
E-Paper

সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন আদালত

গত বছর বুলন্দশহর ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান। সেই বক্তব্যের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত মন্তব্য, নানাবিধ ‘ট্রোল’, আক্রমণ, কাদা ছোড়াছুড়ি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সময় হয়েছে বলেই মনে করছে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানবিলকর এবং ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।

গত বছর বুলন্দশহর ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান। সেই বক্তব্যের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টকে সাহায্য করছেন আইনজীবী ফলি এস নরিম্যান ও হরিশ সালভে। বিচারপতিদের উদ্বেগকে সমর্থন করেছেন তাঁরাও।

সালভে জানান, তিনি নিজেই আপত্তিকর আক্রমণের জেরে টুইটার ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। নরিম্যান জানান, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে বেশ কিছু নিয়মনীতি প্রয়োগ দরকার। রোহিঙ্গা মামলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েক বার আক্রান্ত হয়েছেন তিনিও। সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ করে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘আশ্চর্যের বিষয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বলার আগে মানুষ কিছু ভাবে না!’’ এই প্রসঙ্গেই বেঞ্চ ফের মনে করিয়ে দিয়েছে, কাউকে অসম্মান করা মানে আইনত তাঁর মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ।

ফৌজদারি মামলায় মন্ত্রী বা সরকারি পদাধিকারীরা যেন মত প্রকাশ না করেন, সে বিষয়ে নির্দেশ জারির একটি আর্জি জমা পড়েছিল আদালতে। শুনানিতে এ দিন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রসঙ্গ ওঠে। সম্প্রতি এক প্রবীণ আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি অভিযোগ করেছিলেন, অধিকাংশ বিচারপতিই সরকারপন্থী। সেই প্রসঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, যাঁরা এ ধরনের মন্তব্য করছেন, তাঁদের উচিত আদালতে এসে দেখা, প্রতিদিনই সরকারকে কী ভাবে কাঠগড়ায় তোলা হয়।

Supreme Court of India Social Media Troll সোশ্যাল মিডিয়া
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy