রাজধানী দিল্লি থেকে পথকুকুরদের সরিয়ে কোনও আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। সোমবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার এক দিনের মাথায় ফের নতুন নির্দেশিকা জারি করল দেশের শীর্ষ আদালত। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, এখন থেকে আর যত্রতত্র উচ্ছিষ্ট খাবার ফেলা যাবে না। খাবার দেওয়া যাবে না রাস্তার প্রাণীদেরও।
মঙ্গলবার এক নির্দেশিকা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে ও আশপাশে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে গিয়েছে। শুধু কমপ্লেক্সের ভিতরেই নয়, ভবনের করিডোরে, এমনকি লিফ্টের ভিতরেও পথকুকুরের অবাধ চলাচল। সাধারণ মানুষ খোলা জায়গায় উচ্ছিষ্ট খাবার ফেলার কারণেই এমনটা ঘটছে বলে দাবি শীর্ষ আদালতের। তাই, এই সমস্যার সমাধান করতে এখন থেকে খাবারের অবশিষ্টাংশ খোলা জায়গায় ফেলা যাবে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এখন থেকে উচ্ছিষ্ট খাবার সঠিক ভাবে ঢেকে রাখা ডাস্টবিনে ফেলতে হবে। কোনও অবস্থাতেই খোলা জায়গায় কিংবা উন্মুক্ত ডাস্টবিনে খাবার ফেলা যাবে না। এতে পথকুকুর ও অন্য প্রাণীরা ওই ফেলে দেওয়া খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হয়। খাবারের খোঁজে তারা আবর্জনার স্তূপে ঘাঁটাঘাঁটিও করে, যা অস্বাস্থ্যকর। তা ছাড়া, কখনও কখনও ওই বিড়াল, কুকুরেরা পথচারীদের আঁচড়েকামড়েও দেয়। তাই সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি দিল্লিতে পথকুকুরের কামড়ের ফলে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে নয়াদিল্লি পুরসভা (এনডিএমসি) এবং দিল্লি পুরসভা (এমসিডি)-র কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপও করে শীর্ষ আদালত। শেষমেশ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, রাজধানী নয়াদিল্লি, দিল্লি পুরসভা এবং নয়াদিল্লি পুরসভার প্রশাসনকে দ্রুত সকল এলাকা থেকে পথকুকুরদের সরানোর কাজ শুরু করতে হবে। অবিলম্বে সমস্ত বেওয়ারিশ কুকুরকে ধরে, জীবাণুমুক্ত করে স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। তার একদিনের মাথায় নতুন নির্দেশিকা জারি করা হল।