Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Farooq Abdullah

জননিরাপত্তা আইনে আটক ফারুক আবদুল্লা, কেন্দ্রকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট

এক দিকে সুপ্রিম কোর্ট যখন এই নির্দেশ দিচ্ছে, ঠিক সেই সময়ই  ফারুকের বিরুদ্ধে পাবলিক সেফটি  অ্যাক্ট (পিএসএ) প্রয়োগ করল কেন্দ্র।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৪:৩৮
Share: Save:

সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল মোদী সরকার। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে কেন আটক করে রাখা হয়েছে কেন্দ্রের কাছে জবাব চাইল আদালত। এক দিকে সুপ্রিম কোর্ট যখন এই নির্দেশ দিচ্ছে, ঠিক সেই সময়ই ফারুকের বিরুদ্ধে পাবলিক সেফটি অ্যাক্ট (পিএসএ) প্রয়োগ করল কেন্দ্র। এই প্রথম কোনও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পিএসএ প্রয়োগ করা হল। এই আইনের সংস্থান অনুযায়ী বিচার ছাড়াই দু’বছর পর্যন্ত কোনও ব্যক্তিকে আটক করতে রাখতে পারে সরকার। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের এক পুলিশকর্তা এক সংবাদ সংস্থাকে জানান, পিএসএ অ্যাক্ট প্রয়োগ করা হয়েছে ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে। এবং সেই আইনেই আটক করা হয়েছে তাঁকে।

ফারুক আবদুল্লাকে ‘অবৈধ ভাবে আটক’ করে রাখা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন তামিলনাড়ুর এমডিএমকে নেতা ভাইকো। সেই আবেদনের শুনানি ছিল সোমবার। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস এ বোবদে এবং বিচারপতি এস এ নাজিরের বেঞ্চে মামলাটি উঠলে তাঁরা কেন্দ্র ও জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।

অভিযোগ, গত ৫ অগস্ট থেকে শ্রীনগরে নিজের বাড়িতে ‘বন্দি’ ফারুক। এ প্রসঙ্গে ভাইকো তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবৈধ ভাবে ফারুক আবদুল্লাকে আটকে রাখা হয়েছে। তাঁর সাংবিধানিক ও ব্যক্তিগত অধিকার এবং বাক্‌স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা করছে সরকার। ভাইকোর আইনজীবী এ দিন আদালতে জানান, ফারুক আবদুল্লা বাড়ি থেকে বেরতে পারছেন না। তাঁর সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। ভাইকোর এই আবেদনের বিরুদ্ধে প্রবল আপত্তি জানিয়ে কেন্দ্র পাল্টা বলেছে, আবদুল্লার আত্মীয় নন ভাইকো। এক প্রকার আইন লঙ্ঘন করেই জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মুক্তির জন্য আবেদন করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: প্রয়োজনে আমি নিজে যাব, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে মামলায় বললেন প্রধান বিচারপতি

আরও পড়ুন: কাশ্মীরের পর আকসাই চিনেও অবস্থান পাল্টাবে দিল্লি, চিনের আশঙ্কা

৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর পরই জম্মু-কাশ্মীরের বহু নেতাকে আটক এবং গ্রেফতার করে রাজ্য প্রশাসন। ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতিকে ‘গৃহবন্দি’ করে রাখার অভিযোগ ওঠে। গত ৬ অগস্ট ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে সংসদে বিষয়টি উত্থাপন করেন। ফারুক আবদুল্লা কেন সংসদে নেই তা নিয়ে সরকারের কাছে জবাব চান। ফারুককে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ তোলেন তিনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সে ই অভিযোগকে খারিজ করে পাল্টা দাবি করেন, ফারুককে গ্রেফতার বা আটক কোনওটাই করা হয়নি। তিনি অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতেই রয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE