মহুয়া মৈত্র। ফাইল চিত্র।
সাংসদ পদ খারিজের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বুধবার তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কলের বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। কিন্তু সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি বেঞ্চ। আদালত জানিয়ে দেয়, দ্রুত শুনানি সম্ভব নয়। মামলাকারী চাইলে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন।
এর পরই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে যান মহুয়ার আইনজীবী। বৃহস্পতিবার বা তার পরের দিন শুনানির আর্জি জানান তিনি। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, “ইমেল মারফত আবেদন করুন। আমরা বিষয়টি দেখছি।” প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায় মহুয়ার।
লোকসভার এথিক্স কমিটির প্রস্তাব মেনে মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হলে তিনি যে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন, তা আগেই লিখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। বাস্তবেও তেমনই ঘটেছে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রাথমিক ভাবে মামলা দায়ের করেন মহুয়া। সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ আবেদনে বিষয়টি বিস্তারিত লিখেছেন মহুয়া। তাতে তিনি এথিক্স কমিটির রিপোর্ট এবং তাঁকে বহিষ্কারের প্রস্তাবকে ‘সত্যের বিকৃতি’ বলে উল্লেখ করেছেন।
পাশাপাশি, এথিক্স কমিটির তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মহুয়া। কী ভাবে তাঁকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে শুনানিকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সে কথারও উল্লেখ রয়েছে মহুয়ার আবেদনে। তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা আবেদনে এ-ও উল্লেখ করেছেন যে, কী ভাবে তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।
মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ব্যবসায়ী দর্শনের কাছ থেকে উপহার ও টাকা নিয়ে সংসদে শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই প্রশ্নে তিনি আদানির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও। সাংসদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ডও দর্শনকে মহুয়া দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং মহুয়ার প্রাক্তন বান্ধব জয় অনন্ত দেহাদ্রাইয়ের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy