সুপ্রিম কোর্ট- ফাইল চিত্র।
অসমের নাগরিকপঞ্জি একটি খসড়া মাত্র। তাই সেই নাগরিকপঞ্জির ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।
মঙ্গলবার এ কথা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এও জানানো হল, এ ব্যাপারে যে দাবিদাওয়া ও আপত্তি-অসন্তোষ রয়েছে, তা মেটানো হবে স্বচ্ছ পদ্ধতিতেই। সংশ্লিষ্ট দাবি ও পাল্টা দাবিগুলি কোন পদ্ধতিতে মেটানো হবে, কেন্দ্রীয় সরকারকে তা শীর্ষ আদালতে জানাতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট এ দিন জানিয়েছে, মানুষের মধ্যে যাতে কোনও বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হয়, সে জন্য অসমের খসড়া নাগরিকপঞ্জি আগামী ৭ অগস্ট আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হবে। নাগরিকপঞ্জিতে যাঁদের নাম বাদ গিয়েছে, তাঁরা তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করাতে পারবেন অগস্টের ৩০ তারিখ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। যাঁদের কোনও আপত্তি, অসন্তোষ রয়েছে ওই নাগরিকপঞ্জি নিয়ে, তাঁরাও ওই সময়ের মধ্যে লিখিত ভাবে তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারবেন।
আরও পড়ুন- রাজীবের চুক্তির জন্যই অসমে এই সঙ্কট, অমিতের মন্তব্যে তুলকালাম রাজ্যসভায়
আরও পড়ুন- শঙ্কা বুকে নিয়েই সুযোগ হাতড়াচ্ছেন অসমের ৪০ লক্ষ মানুষ
অসমের ওই নাগরিকপঞ্জি থেকে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ায় সংসদের ভেতরে যেমন তুলকালাম হচ্ছে গত দু’দিন ধরে, তেমনই আলোড়ন সংসদের বাইরে প্রায় সর্বত্র।
ওই নাগরিকপঞ্জি নিয়ে অসমের মানুষ যখন যথেষ্টই সংশয়ে, তখন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, আর এক বছরের মধ্যে লোকসভা নির্বাচন, সে কথা মাথায় রেখেই ভোটের জন্য ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’র তকমা লাগানো হয়েছে বেছে বেছে শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের গায়ে। ওই সম্প্রদায়ের মানুষের নামই বেশি বাদ পড়েছে অসমের ওই খসড়া নাগরিকপঞ্জিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy