Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Supreme Court

ইডির ক্ষমতার পুনর্বিবেচনা জরুরি কি না, দেখবে কোর্ট

বিচারপতি এ এম খানউইলকরের লেখা আগের রায়টিতে গ্রেফতারি থেকে তল্লাশি, সমন পাঠানো থেকে নগদ সম্পত্তি আটক পর্যন্ত ইডি-র যাবতীয় ক্ষমতায় সিলমোহর দেওয়া হয়েছিল।

Supreme Court.

সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:২৪
Share: Save:

ইডি-কে আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইন বা পিএমএলএ-তে যে সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা সংবিধানের বিরুদ্ধে নয় বলে গত বছর ২৭ জুলাই রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ বিচারপতি সঞ্জয় কিষণ কউলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, ওই রায় পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন কি না, শীর্ষ আদালত তা খতিয়ে দেখবে।

বিচারপতি এ এম খানউইলকরের লেখা আগের রায়টিতে গ্রেফতারি থেকে তল্লাশি, সমন পাঠানো থেকে নগদ সম্পত্তি আটক পর্যন্ত ইডি-র যাবতীয় ক্ষমতায় সিলমোহর দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন পক্ষের আর্জির ভিত্তিতে দেশের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার বেঞ্চ দু’টি বিষয় পুনর্বিবেচনা করতে রাজি হয়। প্রথমত, গ্রেফতারির আগে ইডি যে ইসিআইআর (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফর্মেশন রিপোর্ট) দায়ের করে, সেটি দেখাতে তারা বাধ্য নয় বলে আগের রায়ে জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি, পিএমএলএ-তে অভিযুক্তের উপরেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের দায় বর্তায়। এই দু’টি বিষয় পুনর্বিবেচনায় সম্মত হয় সুপ্রিম কোর্ট।

এই সংক্রান্ত একগুচ্ছ আর্জির শুনানি সর্বোচ্চ আদালতের যে বেঞ্চে হচ্ছে, তাতে বিচারপতি কউলের সঙ্গে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী। তাঁরা আজ জানিয়ে দেন, এ ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরের একটি বিষয় বিচার করা হচ্ছে। প্রশ্নটি হল, (আগের রায়ের) কোনও বিষয়ের পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন কি না। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে যদি মনে হয়, রায় পুনর্বিবেচনার কোনও প্রয়োজন নেই, তা হলে সেটি করা হবে না। কোনও বিষয়ের পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন আছে বলে তিন বিচারপতি মনে করলে তবেই মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হয়।

কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘‘কেউ আদালতে এসে তিন বিচারপতির বেঞ্চের রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়েছেন বলেই সারবত্তাহীন তাত্ত্বিক আলোচনা করা উচিত নয়। আমি আইনের অপব্যবহারের বিরোধী।’’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, আগামিকাল যদি কেউ এসে বলেন যে, তিনি সমলিঙ্গে বিবাহের রায় নিয়ে একমত নন, সে ক্ষেত্রেও কি মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে পাঠানো যাবে? মেহতার বক্তব্য, পিএমএলএ কোনও বিচ্ছিন্ন আইন নয়। তা তৈরি হয়েছে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত সংক্রান্ত নজরদারি সংস্থা এফএটিএফের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। আর্থিক পাচার রোধে কোনও দেশের আইন আন্তর্জাতিক স্তরের সঙ্গে কি না, এফএটিএফ তা খতিয়ে দেখে একটি মাপকাঠি তৈরি করে। সেই মূল্যায়ন না হওয়া অবধি জাতীয় স্বার্থে কোর্টকে এক মাস অপেক্ষা করতে আর্জি জানান তিনি।

আবেদনকারীদের অন্যতম আইনজীবী কপিল সিব্বল প্রশ্ন তোলেন, পিএমএলএ-তে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির যখন জেল হয়, তখন এই আইনকে কেন শাস্তিমূলক বিধি বলা হবে না? তিনি জানান, ইডি কাউকে তলব করলে জানাই যায় না, সংশ্লিষ্টকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছে, না অভিযুক্ত হিসেবে। এই আইন সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আদালত জানিয়েছে, ২২ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি। আবেদনকারীরা বহু আইনজীবীর বদলে যেন শুধু দু’জনকে শুনানির জন্য নিয়োগ করেন। পরবর্তী শুনানিতে দু’পক্ষের আইনজীবীরা পাঁচ পাতার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পেশ করতে পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Supreme Court Enforcement Directorate
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE