— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
কর্নাটকে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে কোভিড সংক্রমণ। সমীক্ষা বলছে, সে রাজ্যে ৫৪ শতাংশ পরিবারে এক বা একাধিক জন ভাইরাল জ্বরে ভুগছেন। তাঁদের শরীরে কোভিডের মতোই উপসর্গ রয়েছে।
পরিবারে কত জন সদস্যের শরীরে জ্বর, কোভিড বা ভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে, কর্নাটকে তা জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ৩,৭৮৩ জনকে। তাঁদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, পরিবারে কত জনের সর্দি, জ্বর, গলা ব্যাথা, কাশি, গাঁটে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট রয়েছে। ৩,৭৮৩ জনের মধ্যে ২৩ শতাংশ ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারে চার বা তার বেশি জনের মধ্যে কোভিডের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। ২৩ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারে দুই থেকে তিন জন কোভিডের উপসর্গে ভুগছেন। আট শতাংশ ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারে এক জনের শরীরে কোভিডের উপসর্গ রয়েছে। ৪৬ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারে কারও কোভিড বা তার মতো কোনও উপসর্গ নেই।
অগস্টে কর্নাটকে একই রকম সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তখন দেখা গিয়েছিল, সে রাজ্যে ৩৩ শতাংশ পরিবারে এক বা একাধিক সদস্য কোভিডে আক্রান্ত বা তাঁদের শরীরে কোভিডের উপসর্গ রয়েছে। এ বার তা ৫৪ শতাংশ পরিবারে দেখা গেল।
কয়েক সপ্তাহ আগেই রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাতে ইনফ্লুয়েঞ্জা বা শ্বাসকষ্ট রয়েছে, এমন রোগীদের উপর নজর রাখতে বলা হয়েছিল সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে। হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। পাশাপাশি, উদ্বেগ না করে সতর্ক হওয়ার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। কর্নাটকে ১৫ ডিসেম্বর থেকে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। তাঁদের মধ্যে তিন জন করোনাভাইরাসের নতুন উপরূপ জেএন.১-এ আক্রান্ত ছিলেন। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, বেশিরভাগই অন্য কোনও রোগে (কোমর্বিডিটি) আক্রান্ত ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy