Advertisement
E-Paper

সাসপেন্ড ৮৯ বিধায়ক, চক্রান্ত বলছে ডিএমকে

মার্শাল ডেকে রীতিমতো চ্যাংদোলা করে বের করে দেওয়া হচ্ছে বিরোধী দলনেতা এম কে স্ট্যালিনকে। শুধু নেতা নন, বিধানসভার কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সাত দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে ডিএমকে-র ৮৯ জন বিধায়ককেই।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৬ ০৪:৫৫

মার্শাল ডেকে রীতিমতো চ্যাংদোলা করে বের করে দেওয়া হচ্ছে বিরোধী দলনেতা এম কে স্ট্যালিনকে। শুধু নেতা নন, বিধানসভার কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সাত দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে ডিএমকে-র ৮৯ জন বিধায়ককেই। শাসক ও বিরোধী দলের তীব্র বাদানুবাদের মধ্যে বুধবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল তামিলনাড়ু বিধানসভা। পরে মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার দল মুখ না খুললেও, বিষয়টিকে শাসক দল এডিএমকে-র ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ বলেছেন স্ট্যালিন। স্পিকার পি ধনপালের বিরুদ্ধেও আঙুল তুলেছেন অনেকে।

ঘটনার সূত্রপাত, আবাসন ও তথ্য-প্রযুক্তি দফতরকে বিশেষ অনুদান দেওয়া নিয়ে। ভরা সভায় বিষয়টি নিয়ে সবে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এডিএমকে বিধায়ক এস গুণাশেখরন হঠাৎই গত বিধানসভা ভোটের আগে ডিএমকে-র একটি রাজ্যব্যাপী রোড-শো নিয়ে কটাক্ষ করেন। করুণানিধি-পুত্র স্ট্যালিনই
ছিলেন রোড-শোয়ের দায়িত্বে। প্রসঙ্গ উঠতেই তা-ই তীব্র প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে ডিএমকের অন্দরে।

গুণাশেখরনের বিরুদ্ধে স্পিকারের হস্তক্ষেপও দাবি করেন স্ট্যালিন। সভার কার্যবিবরণী থেকে এই মন্তব্য বাদ দেওয়ার দাবি ওঠে। স্পিকার জানান, শাসক দলের বিধায়ক যে হেতু কারও নাম উল্লেখ করেননি, তাই মন্তব্য বাতিলের প্রশ্ন ওঠে না। মুহূর্তে উত্তেজনা ছড়ায় বিরোধী শিবিরে। স্ট্যালিন নিজে এর বিরোধিতা করেন। সমবেত স্লোগান দিতে থাকেন বাকিরাও। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাইক হাতে নেন স্পিকার। বিরোধী দলকে সংযত হওয়ার আবেদন জানান। তাতেও কাজ না হওয়ায় শাসক শিবিরের দলনেতা তথা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ও পনিরসেলভম ডিএমকে-র ৮৯ জন বিধায়ককেই আগামী সাত দিনের সাসপেন্ড করার দাবি তোলেন। সভা বিরোধীশূন্য হয়ে পড়ায় সহজেই তা ধ্বনিভোটে গৃহীত হয়। মার্শাল ডেকে বিরোধী দলনেতাকে সভাকক্ষের বাইরে পাঠান স্পিকার। এ দিনের মতো সভা মুলতুবি হয়ে যায়।

বিষয়টিকে ‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’ বলছেন সাসপেন্ড হওয়া বিধায়কদের একাংশ। স্ট্যালিন বলেন, ‘‘সবটাই শাসক দলের ছক। বিরোধী দলের প্রতি স্পিকারের মনোভাবটাও পরিষ্কার হয়ে গেল। ওরা চায় না, আমরা কোনও বিতর্কে অংশ নিই।’’ জয়ললিতার অধীনে থাকা স্বরাষ্ট্র দফতরকে
বিশেষ অনুদান দেওয়া নিয়ে বিতর্ক রয়েছে অধিবেশনে। স্ট্যালিনের দাবি, বিতর্ক থেকে ডিএমকে-কে দূরে রাখতেই এই সাসপেনশন।

MLA DMK
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy