Advertisement
E-Paper

বাদুড়-বরাহ মূল দায়ী নয়, দাবি রিপোর্টে

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৮ ০৫:১১

বাদুড় বা শূকরকেই নিপা ছড়ানোর জন্য মূল দায়ী বলে মনে করা যাচ্ছে না। কেরলের মালাপ্পুরম ও কোঝিকোড় জেলায় এ পর্যন্ত ১২ জনের মত্যু হয়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণে। ওই দু’টি জেলার বাদুড়, শূকর গরু ও ছাগলের দেহরসের মোট ২১টি নমুনা পরীক্ষা করে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মেডিক্যাল টিম’ স্বাস্থ্য মন্ত্রকে যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, বাদুড় ও শূকরই এই রোগের মূল উৎস নয়। যে বাড়িতে নিপায় প্রথম মৃত্যু হয়েছিল, সেই বাড়ির কুয়োয় পাওয়া বাদুড়ের দেহরসও নিয়েছিল কেন্দ্রীয় দলটি। উৎস তবে কী? তা নিশ্চিত করে বলা হয়নি রিপোর্টে। অন্যান্য সম্ভাব্য উৎসগুলি নিয়ে এখনও পরীক্ষা চলছে ভোপাল ও পুণের পরীক্ষাগারে।

নতুন করে আক্রান্তের খবর না এলেও গোটা কেরল এখনও আতঙ্কে। উদ্বেগ কম নয় লাগোয়া কর্নাটকে। বেঙ্গালুরুতে চলছে তিন দিনের আম-কাঁঠাল উৎসব। বাদুড়ের কামড়ের দাগ আছে কি না, তা ভাল করে দেখে তবেই কিনছেন ক্রেতারা। সিকিমে নিপা সংক্রমণের আশঙ্কা কম হলেও রাজ্য সরকার মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। তবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে কর্নাটক সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের একটি পরামর্শকে ঘিরে। কেরল থেকে আসা নার্স এবং মেডিক্যাল ছাত্রছাত্রীদের এই মুহূর্তে বাড়ি না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা। ওই নার্স ও পড়ুয়াদের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে ও কর্নাটকেও যাতে এই রোগ না ছড়ায়, এই দুই উদ্দেশ্যেই এই পরামর্শ। কিন্তু মালয়ালি সংবাদমাধ্যমের একাংশে ওই পরামর্শকে ‘নির্দেশ’ বলে উল্লেখ করায় কিছুটা বিভ্রান্তি ছড়ায়। ওই খবরে বলা হয়, কর্নাটক আগামী দু’মাস কেরল থেকে আসা স্বাস্থ্যকর্মীদের নিজের রাজ্যে যেতে বারণ করে নির্দেশিকা জারি করেছে। ইউনাইটেড নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমজাদ বলেছেন, ‘‘কাউকে বাড়ি যাওয়া থেকে আটকানোর অধিকার কারও নেই। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মালয়ালি নার্সদের কেরলে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কর্নাটক।’’

Nipah Karnataka
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy