সামরিক বিমানে ভারতীয় কর্মীরা
রবিবার কাবুল দখলের কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের বাইরের চত্বর ঘিরে ফেলতে শুরু করেছিল তালিবান বাহিনী। যার জেরে কাবুল থেকে দূতাবাসের কর্মীদের দেশে ফেরাতে মোদী সরকারের দু’বারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। অন্য দিকে, দূতাবাসের বাইরেও ক্রমেই আনাগোনা বাড়ছিল বন্দুকধারী তালিব যোদ্ধাদের। ওই বেষ্টনী পেরিয়ে কী ভাবে তাঁরা দেশে ফিরে আসবেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না ভারতীয় দূতাবাসে আটকে থাকা কর্মীরা। কিন্তু রাত বাড়তেই নাটকীয় পটপরিবর্তন। সকলকে তাজ্জব করে ভারতীয় দূতাবাসের ১৫০ কর্মীকে বিমানবন্দরের পৌঁছে দিল ওই তালিবান বাহিনীই।
কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে তালিব যোদ্ধাদের ভি়ড় বাড়তে থাকায় দেশে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন বিদেশমন্ত্রকের কর্মীরা। কিন্তু তাঁদের আটকে রাখা যে তালিবানের উদ্দেশ্য ছিল না, তা বোঝা গেল কিছু ক্ষণের মধ্যেই। ভারতীয় কূটনীতিকদের নিরাপদে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়ার আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন কয়েক জন তালিব যোদ্ধা।
সোমবার রাত বাড়তেই দূতাবাস থেকে বার করে আনা হয় ভারতীয়দের। তার পর মোট ২৪টি গাড়িতে করে তাঁদের পৌঁছে দেওয়া হয় বিমানবন্দরে। ওই ২৪টি গাড়ির কনভয়ের সামনেই ছিল তালিবান বাহিনীর একটি গাড়ি। রাস্তায় একাধিক বার ভারতীয় কর্মীদের কনভয়কে আটকে ছিল গ্রিন জোনের বাইরে প্রহরায় থাকায় বন্দুকধারীরা। সঙ্গে থাকা তালিবদের হস্তক্ষেপেই যেতে দেওয়া হয় তাঁদের, এমনটাই জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থা।
ভারতীয় দূতাবাস থেকে কাবুল বিমানবন্দর মেরেকেটে পাঁচ কিলোমিটার। ওই রাস্তায় পেরোতে কনভয়ের সময় লেগেছিল প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। ওই সময়ে বিমানবন্দরেই ছিল ভারতের সামরিক বিমান এসি-১৭। ওই বিমানে চেপেই গুজরাতের মাটিতে অবতরণ করে ওই ১৫০ জন কর্মী। তাঁদের মধ্যে এক কর্মী বলেন, ‘‘ওই তালিব যোদ্ধারা ভদ্রই ছিলেন। কিন্তু বিমানবন্দরে আমাদের পৌঁছে দিয়ে আমাদের দু’টি গাড়ি ওরা নিয়ে গিয়েছে।’’
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও টুইট করে বলেন, ‘‘ভারতের রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসের বাকি কর্মীদের দেশে ফেরানোর কাজ অত্যন্ত কঠিন ছিল। ওই কাজে যারা আমাদের সাহায্য করেছেন, তাঁদের অসংখ্য ধন্যবাদ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy