Advertisement
E-Paper

দাসনা জেলে রায়ের নথি পৌঁছনোর অপেক্ষায় তলোয়াররা, মুক্তি আজই

রায় গতকাল ঘোষিত হলেও, রায়ের নথি এখনও জেলে পৌঁছয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই নথি দাসনা কারাগারে পৌঁছে যাবে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর। রাজেশ-নূপুর তৈরি। নথি এলেই পা রাখবেন জেলের বাইরে।

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৭ ১৪:০৫
রাজেশ ও নূপুর তলোয়ার।

রাজেশ ও নূপুর তলোয়ার।

চার-চারটে বছর কেটে গিয়েছে অন্ধকার খুপরিতে। সেই ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে গাজিয়াবাদের দাসনা কারাগারে বন্দি নয়ডার চিকিত্সক দম্পতি। মাথায় জোড়া খুনের দায়। আজ সকালে অবশ্য সেই দায়টা আর নেই। দীর্ঘ চার বছর পর একটা অন্য রকম সকাল রাজেশ তলোয়ার এবং নূপুর তলোয়ারের জীবনে। ইলাহাবাদ হাইকোর্ট গতকাল, বৃহস্পতিবারই জানিয়েছে, বিশেষ সিবিআই আদালতের রায় ভুল ছিল। নিজেদের মেয়ে আরুষি এবং পরিচারক হেমরাজকে তলোয়ার দম্পতিই খুন করেছিলেন, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি, জানিয়েছে হাইকোর্ট।

রায় গতকাল ঘোষিত হলেও, রায়ের নথি এখনও জেলে পৌঁছয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই নথি দাসনা কারাগারে পৌঁছে যাবে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর। রাজেশ-নূপুর তৈরি। নথি এলেই পা রাখবেন জেলের বাইরে।

আরও পড়ুন:

আরুষি খুনে মুক্তি পেলেন তলোয়ার-দম্পতি

মেয়েকে খুনে বেকসুর খালাস করেছে কোর্ট, শুনে কেঁদে ফেললেন নূপুর


জেল সুপারিনটেন্ডেন্ট দধিরাম মৌর্য বলেছেন, ‘‘আমাদের কাছে এখনও আদালতের কোনও নির্দেশ আসেনি। সেটা আসলেই ওঁদের ছেড়ে দেব।’’ তিনি জানান, কারাগার থেকে কোনও বন্দিকে মুক্তি দিতে গেলে দু’টি পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ‘‘ইলাহাবাদ হাইকোর্ট সরাসরি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দেশনামা পাঠাতে পারে। অথবা সিবিআই আদালতের মাধ্যমে সেই কপি পাঠানো হবে যেখানে তলোয়ার দম্পতিকে যাবজ্জীবনের সাজা শোনানো হয়েছিল’’, বলেছেন দধিরাম।

২০০৮ সালের ১৬ মে নয়ডার জল বায়ু বিহারে নিজের বাড়িতে খুন হয় কিশোরী আরুষি তলোয়ার। ঘরের ভিতর থেকে তার গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় নিখোঁজ ছিলেন তলোয়ারদের পরিচারক হেমরাজ। দু’দিন পরে ওই বাড়িরই ছাদ থেকে থেকে হেমরাজের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওঠে, নিজের মেয়ে আরুষিকে খুন করেছেন রাজেশ। হেমরাজকেও তিনিই খুন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। হেমরাজের সঙ্গে আরুষিকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেই আক্রোশে রাজেশ তলোয়ার জোড়া খুন করেছেন বলে তদন্তকারীরা দাবি করেন। নূপুর তলোয়ারের বিরুদ্ধেও খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। মামলা চলে সিবিআই আদালতে। ২০১৩ সালে আরুষি হত্যা মামলায় তলোয়ার দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করে সিবিআই আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা করেন রাজেশ ও নূপুর। বিচারপতি বি কে নারায়ণ এবং এ কে মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, সিবিআইয়ের পেশ করা তথ্যপ্রমাণ তলোয়ার দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য যথেষ্ট নয়। এমন কোনও তথ্য-প্রমাণ সিবিআই জোগাড় করতে পারেনি, যার ভিত্তিতে বলা যায়, রাজেশ-নূপুরই আরুষি-হেমরাজের খুনি।

Allahabad High Court Dasna Jail Rajesh Talwar Nupur Talwar আরুষি হত্যাকাণ্ড ইলাহাবাদ হাইকোর্ট Aarushi Murder Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy