রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপাল সংঘাতের পারদ এখনও নামেনি তামিলনাড়ুতে। আর তার প্রভাব পড়তে চলেছে শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসের সরকারি কর্মসূচিতে। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের দফতর বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তিনি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজ্যপাল আরএন রবি আয়োজিত চা চক্রে অংশ নেবেন না।
এ প্রসঙ্গে রীতিমতো সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিশানা করা হয়েছে রাজ্যপালকে। সরাসরি রবির নাম না করে বলা হয়েছে, ‘‘যিনি প্রতিনিয়ত তামিলনাড়ুর জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করছেন, তাঁর আমন্ত্রণে সাড়া দেবেন না মুখ্যমন্ত্রী।’’ চেন্নাইয়ের রাজভবনে শুক্রবার রাজ্যের অন্য মন্ত্রীরাও যাবেন না বলে জানানো হয়েছে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে। এ ছাড়া, তামিলনাড়ুর উচ্চশিক্ষামন্ত্রী গোভি চেঝিয়ান রাজ্যপাল রবির বিরোধিতা করার উদ্দেশ্যে আগামী ১৮ এবং ১৯ আগস্ট দু’টি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান বয়কট করবেন বলেও জানানো হয়েছে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে।
গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যপাল বনাম মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দল ডিএমকে-র দ্বন্দ্ব দেখছে তামিলনাড়ু। ২০২৩ সাল থেকে স্বাধীনতা দিবসে রাজভবনের চা চক্র বয়কট চালিয়ে যাচ্ছে স্ট্যালিন সরকার। কয়েক বছর আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রাজ্যপালকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার! এর পর বিধানসভায় পাশ হওয়া ১০টি বিল রাজ্যপাল আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করা হয়েছিল স্ট্যালিন সরকারের তরফে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের গোড়ায় রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে বিলগুলিতে সই করেছিলেন রবি। কিন্তু সংঘাতের রেশ যে এখনও রয়ে গিয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে গেল স্বাধীনতা দিবসের আগে।