কাজের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও)-দের। এমন অভিযোগ তুলে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর-এর কাজ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিলেন তামিলনাড়ুর রাজস্ব দফতরের কর্মচারীরা। ওই কর্মচারীদের সংগঠন ‘ফেডারেশন অফ রেভেনিউ অ্যাসোসিয়েশনস অফ তামিলনাড়ু’ মঙ্গলবার থেকে এই বয়কট কর্মসূচিতে শামিল হয়েছে। মঙ্গলবার ওই সংগঠনের নেতা এমপি মুরুগাইয়ান বলেন, “আজ থেকে আমরা এসআইআর সংক্রান্ত কোনও কাজে থাকব না।”
তামিলনাড়ুর রাজস্ব দফতরের কর্মচারীদের অভিযোগ, অত্যধিক কাজের চাপে তাঁরা নাজেহাল। লোকবলের অভাব এবং এসআইআর সংক্রান্ত কাজে যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাবের অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। এসআইআর-এর কাজে লোকবল বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, দফতরের কাজে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।
সোমবার সন্ধ্যায় সংগঠনের সদস্যেরা তামিলনাড়ুর ৩২টি জেলার জেলাশাসককে স্বারকলিপি দিয়ে নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা তুলে ধরেন। রাজ্যের প্রতিটি জেলা সদরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। দক্ষিণের আর এক রাজ্য কেরলে এক বিএলও কাজের চাপে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে সোমবার কাজ বয়কটের ডাক দেন সে রাজ্যের বিএলও-রা। এসআইআর-এর কাজের চাপ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিএলও-রাও। কয়েক জন আধিকারিক কাজের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও অভিযোগ। চলতি মাসেই পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে নমিতা হাঁসদা নামের এক বিএলও-র মৃত্যু হয়। কাজের চাপে ব্রেন স্ট্রোক হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।