বিজেপি ও হিমন্তকে আক্রমণ করতে গিয়ে অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ স্বীকার করে নিলেন ‘ঘোড়া কেনাবেচা’ তাঁরাও করেছেন। মণিপুরে বিজেপি যে ভাবে বিধায়ক ভাঙিয়ে এনে সরকার গড়েছে, তাতে বিজেপির নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়ে কথার তোড়ে গগৈ জানিয়ে দিলেন, ২০১০ সালে রাজ্যসভার ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীকে জেতাতে তাঁরই নির্দেশে তৎকালীন কংগ্রেস মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা চার বিজেপি বিধায়ককে তুলে নিয়ে যান। পরে তাঁদেরকে কংগ্রেস প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেওয়ান।
শেষ পর্যন্ত তাঁদের কৃতকর্মকে ‘রাজনৈতিক কূটনীতি’-র মোড়কে ঢাকার চেষ্টা করলেন গগৈ। তবে ততক্ষণে যা বেফাঁস বলার তা বলে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের রাজ্যসভা ভোটে কংগ্রেসের মন্ত্রী হিমন্ত ও রকিবুল হুসেন কার্তিকসেনা সিংহ, রুমি নাথ, শম্ভু সিংহ মাল্লা ও অভিজিৎ হাজরিকাদের কার্যত অপহরণ করে লুকিয়ে রাখেন।
পরে ভোটের সময় হিমন্ত নিজে
গাড়ি চালিয়ে তাঁদের নিয়ে বিধানসভায় ঢোকেন। কংগ্রেসের প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেন ওই চার জন। তিনি জানতেন? গগৈ স্বীকার করেন, ‘‘আমি সবই জানতাম। ঘোড়া কেনাবেচা হোক বা অন্য যে নামেই ডাকা হোক—সে বার আমার নির্দেশেই হিমন্ত সব করেছে। আমরা রাজনৈতিক কূটনীতির আশ্রয় নিয়েছিলাম। কিন্তু বড়-বড় কথা বলা বিজেপি কেন সেই পথেই হাঁটছে?’’
এ দিকে, কংগ্রেস মণিপুরের ‘দলছুট বিধায়ক’ শ্যামকুমারকে আজ বরখাস্ত করায় আস্থা ভোটের আগে বিজেপি শিবির স্বস্তি পেল। এর ফলে এখন নির্দল হিসেবে তিনি বিধায়ক থাকতেও পারবেন, বিজেপিকে সমর্থনও দিতে পারবেন। মন্ত্রিসভা থেকেও তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে না। অবশ্য মন্ত্রিসভার দফতর বিতরণ ও মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ নিয়ে এখনও শরিকদের মধ্যে টানাপড়েন অব্যাহত। শরিকদের তুষ্ট করতে সরকারে বিজেপি
নিজেই এখন সংখ্যালঘু। মুখ্যমন্ত্রী-সহ মাত্র দু’জন বিজেপি বিধায়ক মন্ত্রী হতে পেরেছেন প্রথম
দফায়। পছন্দ মতো দফতর চেয়ে এনপিপি এখনও বিজেপিকে চাপে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আস্থা ভোটের আগে আর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ হবে না বলেই বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy