Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সর্বাকে তোপ গগৈয়ের

গৌহাটি হাইকোর্ট অসমে ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি স্কুল (ভেঞ্চার স্কুল) সরকারিকরণের আইন বাতিল করার নির্দেশ দেওয়ায় আতঙ্কে ভুগছেন রাজ্যের প্রায় ৬০ হাজার ভেঞ্চার স্কুলশিক্ষক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৫০
Share: Save:

গৌহাটি হাইকোর্ট অসমে ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি স্কুল (ভেঞ্চার স্কুল) সরকারিকরণের আইন বাতিল করার নির্দেশ দেওয়ায় আতঙ্কে ভুগছেন রাজ্যের প্রায় ৬০ হাজার ভেঞ্চার স্কুলশিক্ষক। ভেঞ্চার স্কুলশিক্ষকদের ঐক্যমঞ্চ এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার দ্বারস্থ হয়েছে।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আজ এ নিয়ে বিজেপির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘‘সরকারের সদিচ্ছা থাকলে এখনও ওই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করছে না কেন?’’ গগৈয়ের অভিযোগ, বিজেপি শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের কথা ভাবছে না। দরিদ্রদের সহায়ক প্রকল্পগুলি বন্ধ করছে। স্বল্প সঞ্চয়ে সুদও কমাচ্ছে। কথায় কথায় জাতি-মাটি-ভেটি রক্ষার কথা বলা সর্বানন্দ সরকার ছ'মাসের মধ্যে শ্বেতপত্র দিয়ে জানায়, অসম ও অসমবাসীকে রক্ষার জন্য তা কী করেছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ‘অসম ভেঞ্চার এডুকেশন ইনস্টিটিউশনস (প্রভিনসিয়ালাইজেশন অফ সার্ভিসেস) অ্যাক্ট-২০১১’ পাশ হয় বিধানসভায়। তখনও শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন হিমন্তবিশ্ব শর্মা। ২০১৩ সাল থেকে ধাপে ধাপে স্কুলগুলি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়। প্রায় ২০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর সরকারিকরণের কাজ চলছিল।

২৩ জুলাই নতুন সরকারের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে হিমন্ত যৌথমঞ্চকে আশ্বাস দিয়েছিলেন— ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাদেশিকীকরণ আইন (স্কুল সরকারি সাহায্যের আওতায় আনা) চূড়ান্ত সংশোধন করে প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। কিন্তু কয়েকটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত সপ্তাহে রায় দেয়, শিক্ষার অধিকার আইন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় আইন না মেনেই ওই আইন আনা হয়েছিল। ব্যক্তিগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে সরকারি চাকরির আওতায় আনা প্রতিযোগিতাভিত্তিক ছিল না বা পরীক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে হয়নি। তাই, এ ধরণের নিয়োগ রাজ্যের পরবর্তী প্রজন্মের ভিত দুর্বল করতে পারে। আদালত রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, ৬ মাসের মধ্যে নতুন করে আইনটি আনতে হবে। যৌথমঞ্চের দাবি, দ্বিতীয় পর্যায়ে সরকারিকরণের জন্য যোগ্য বিবেচিত ৩০ হাজার ও এখনও গণ্য না হওয়া আরও ৩০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর পদ সরকারিকরণের বিষয়ে সরকার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক।

এ দিকে কাজিরাঙায় উচ্ছেদ নিয়ে উত্তেজনা না কাটতেই বনমন্ত্রী ঘোষণা করলেন পবিতরা অভয়ারণ্যেও চলবে উচ্ছেদ অভিযান। এ দিন পবিতরা সফরে গিয়ে বনকর্তা ও পুলিশের সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি জানান, পবিতরার আশপাশেও অনেক জমি জবরদখল করা হয়েছে। তা উদ্ধার করা হবে। ফলে মায়ং-পবিতরা এলাকাতেও আন্দোলন হওয়ার সম্ভাবনা। এমনিতেই বন্যার পরে মায়ং থেকে আসা বেশ কিছু পরিবার অন্যত্র জমি জবরদখল করে থাকায় পরিবেশ উত্তেজনাপূর্ণ রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tarun gogoi sarbananda sonowal Assam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE