Advertisement
E-Paper

নগদেই বেতন পাচ্ছেন বাগান শ্রমিকরা

অসম সরকারের নির্দেশে বাগান শ্রমিকদের জন্য চলছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ। কিন্তু এখনও তা পুরোপুরি শেষ হয়নি। সে জন্য শ্রমিকদের ‘সাপ্তাহিক তলব’ দিতে বাগানে পৌঁছচ্ছেন ব্যাঙ্ক নিযুক্ত বেসরকারি এজেন্সির কর্মীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:২১

অসম সরকারের নির্দেশে বাগান শ্রমিকদের জন্য চলছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ। কিন্তু এখনও তা পুরোপুরি শেষ হয়নি। সে জন্য শ্রমিকদের ‘সাপ্তাহিক তলব’ দিতে বাগানে পৌঁছচ্ছেন ব্যাঙ্ক নিযুক্ত বেসরকারি এজেন্সির কর্মীরা।

কিন্তু তাতেও সমস্যা হচ্ছে। অন্যতম কারণ, মোবাইল পরিষেবা। প্রত্যন্ত অনেক বাগানে বেশিরভাগ সময়ই মিলছে না সিগন্যাল। বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে করিমগঞ্জ প্রশাসন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, প্রত্যন্ত এলাকায় অবিচ্ছিন্ন মোবাইল পরিষেবা দেওয়া কার্যত সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বিএসএনএল।

করিমগঞ্জ জেলার ২২টি বাগানের শ্রমিকদের অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তব ছবিটা অন্যরকম। করিমগঞ্জের শহরতলির এওলাবাড়ি বাগানের শ্রমিকরা জানিয়েছেন, এখনও তাঁদের বেশিরভাগের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়নি। করিমগঞ্জের প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানান, বাগান শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলেও ‘কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট’-এর কর্মীরা নগদে সেই টাকা শ্রমিকদের হাতে দেবেন। তফাৎ একটাই— আগে সেই টাকা দিতেন বাগান কর্তৃপক্ষ। সেখানেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। কোনও এক জন ‘কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট’ প্রতিনিধি প্রতি দিন ১ লক্ষ টাকার উপর বিলি করতে পারেন না। দুর্ল্লভছড়া এলাকার বাগানের মতো কয়েকটিতে সপ্তাহে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা বিলি করতে করতে হয়। সে জন্য কমপক্ষে ১৪ জন ‘কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট’ প্রতিনিধিকে সেখানে যেতে হবে। কোনও কারণে সাপ্তাহিক তলবের দিন মোবাইল নেটওয়ার্ক না মিললেও, শ্রমিকরা তা হাতে পাবেন না। বাগানের তলবের দিনই বসে বাজার। বাজার খোলা হলেও শ্রমিকরা হাতে টাকা না পেলে তার প্রভাব পড়বে বাজারের কেনাবেচায়।

Tea garden Salary Cash
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy