Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Teacher Beaten in Kanpur

ছাত্রকে ওঠবস করানোর ‘অপরাধ’, উত্তরপ্রদেশে স্কুলে ঢুকে শিক্ষককে মারধর অভিভাবকের

স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ছাত্র পড়া না করে আসায় এক শিক্ষক তাকে ওঠবস করিয়েছিলেন। শিক্ষকের শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি অভিভাবকদের কাছে জানায় ওই ছাত্র।

অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে শিক্ষককে মারধর করছেন অভিভাবকরা। ছবি: সংগৃহীত।

অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে শিক্ষককে মারধর করছেন অভিভাবকরা। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কানপুর শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৫১
Share: Save:

স্কুলে পড়া না পারলে বা দুষ্টুমি করলে অনেক সময় শিক্ষকরা শাস্তি দিয়ে থাকেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের এক স্কুলে সেই শাস্তি দেওয়ার পরিণতি হল ভয়ানক। স্কুলে ঢুকে সেই শিক্ষককেই মরাধরের অভিযোগ উঠল অভিভাবকের বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে কানপুরের একটি স্কুলে।

স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ছাত্র পড়া না করে আসায় এক শিক্ষক তাকে ওঠবস করিয়েছিলেন। শিক্ষকের শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি অভিভাবকদের কাছে জানায় ওই ছাত্র। কেন শিক্ষক শাস্তি দেবেন, এই দাবি তুলে তাঁকেই পাল্টা ‘শাস্তি’ দিলেন অভিভাবকরা। তাঁর এই শাস্তি দেওয়ার পরিণতি যে ভয়ানক হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি ওই শিক্ষক।

সোমবার অধ্যক্ষের ঘরেই বসে ছিলেন শিক্ষক। সেই সময় আচমকাই এক দল লোক হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়েন অধ্যক্ষের ঘরে। তার পরই সেই শিক্ষককে মারধর শুরু করেন ছাত্রের অভিভাবকরা। ঘুষি, থাপ্পড় চলতে থাকে তাঁকে লক্ষ্য করে। এই ঘটনায় স্কুলে হুলস্থুল পড়ে যায়। অন্যান্য শিক্ষকেরা ছুটে আসেন। তাঁরা ছাত্রের অভিভাবকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। অধ্যক্ষ নিজে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। শিক্ষককে তার পরেও মারধর করা হয়ে বলে অভিযোগ।

স্কুলে যখন এই ঘটনা ঘটছিল, নিরাপত্তারক্ষীরা পুলিশে খবর দেন। স্কুলে পুলিশ পৌঁছনোর আগেই ওই ছাত্রের অভিভাবকরা চলে যান। পুলিশ জানিয়েছে, তারা স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তাঁরা অভিযোগ জানালেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Teacher beaten
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE