Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Cannibalism

‘আমার মাংস খাওয়ার ছক করেছিল ওরা’! মা-বাবা এবং ভাইবোনকে খুনের পর দাবি যুবকের

পুলিশ আধিকারিক ক্রেগ জানিয়েছেন, ঘরের ভিতর থেকে সিজ়ারের বাবা রুবেন ওলাল্দে, মা আয়দা, বোন লিসবেট এবং ভাই অলিভারের দেহ উদ্ধার হয়। ঘরের একাধিক জায়গায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।

murder

‘মানুষখেকো’র তত্ত্ব তুলে পরিবারের সদস্যদের খুন যুবকের। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৩ ১৩:৪২
Share: Save:

বাড়ির লোকেরা তাঁকে মেরে মাংস খাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। আর সেই কারণেই তাঁদের গুলি করে খুন করছেন বলে দাবি করলেন এক যুবক। ঘটনাটি আমেরিকার টেক্সাসের।

দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত যুবকের নাম সিজ়ার ওলাল্দে। বছর আঠারোর এই যুবক বিরুদ্ধে মা-বাবা এবং ভাইবোনকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পান এক যুবক বাড়ির লোকেদের গুলি করে মারার চেষ্টা করছেন। সেই খবর পেয়েই সিজ়ারদের বাড়িতে হাজির হয় তারা। কিন্তু তত ক্ষণে বাড়ির সকলকেই গুলি করে খুন করেছিলেন যুবক।

পুলিশ আধিকারিক ক্রেগ বাস্টার বলেন, “আমরা খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছই। গিয়ে দেখি এক যুবক বন্দুক হাতে বাড়ির বারান্দায় বসে। পুলিশকে দেখামাত্রই গুলি চালানোর জন্য উদ্যত হন। তাঁকে আত্মসমর্পণ করার জন্য বোঝানো হয়।” বেশি কিছু ক্ষণ ধরে তাঁকে বোঝানোর পর অবশেষে সিজ়ারকে বাগে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ।

পুলিশ আধিকারিক ক্রেগ জানিয়েছেন, ঘরের ভিতর থেকে সিজ়ারের বাবা রুবেন ওলাল্দে, মা আয়দা, বোন লিসবেট এবং ভাই অলিভারের দেহ উদ্ধার হয়। ঘরের একাধিক জায়গায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ক্রেগ জানিয়েছেন, এর থেকে স্পষ্ট যে, যুবক পরিবারের সদস্যদের খুন করার উদ্দেশ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছেন। কেন তিনি পরিবারের সদস্যদের খুন করলেন? পুলিশের জেরায় সিজ়ার দাবি করেন, “ওরা আমাকে মারার পরিকল্পনা করেছিল। আমাকে মেরে মাংস খেত। তাই ওদের হাত থেকে বাঁচতেই এ কাজ করেছি।” সিজ়ারের দাবি কতটা সত্যি তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cannibalism usa Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE