বিহারে সরকারি হোমে সিরাপের অপব্যবহার। তা রুখতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ দিলেন ওয়ার্ডেন। ৫ কিশোর বন্দি মিলে তাঁকে গুলি করে খুন করেছে। ১৭ বছরে এক সহবন্দিকেও খুন করেছে তারা। ঘটনার পর থেকেই ফেরার অভিযুক্তরা।তাদের মধ্যে একজনের বাবা স্থানীয় সংযুক্ত জনতা দলের নেতা।
পটনা থেকে ৩২৫ কিমি দূরে পূর্ণিয়ায় অবস্থিত ওই হোম। অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা অপরাধমূলক কাজকর্মে লিপ্ত হলে, তাদের সেখানে আনা হয়। সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলে। সবরকম সুযোগ সুবিধাই দেওয়া হয়। অসুখ বিসুখ হলে মেলে চিকিৎসা পরিষেবাও। তার জন্য ওষুধপত্র মজুত থাকে সবসময়।
কিন্তু সম্প্রতি ওষুধপত্রের অপব্যবহার শুরু হয়। লুকিয়ে কফ সিরাপ সরিয়ে নিতে শুরু করে জনা কয়েক কিশোর। সেগুলি মাদকদ্রব্য হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করে তারা। ওয়ার্ডেন বিজেন্দ্র কুমারের কানে সেখবর পৌঁছয়। মঙ্গলবার সন্দেহভাজনদের পাঁচজনের জিনিসপত্রে তল্লাশি চালান তিনি। তাতে উদ্ধার হয় কফ সিরাপের শিশি।