২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে ভুয়ো তথ্য দেওয়া এবং নিরপরাধ ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা অভিযোগ তোলার জন্য গত জুন মাসে এই দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাত পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। তিস্তা এবং শ্রীকুমারের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভুল তথ্যপ্রমাণ দেওয়ার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৮ ও ১৯৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট গুজরাত দাঙ্গায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দিকটি খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয় গত জুন মাসে। শীর্ষ আদালত আরও জানায়, তৎকালীন গুজরাত প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসন্তুষ্ট পুলিশ আধিকারিক ও অন্য যে সব ব্যক্তিরা ‘সম্মিলিত ভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করার জন্য’ মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। হলফনামায় বিশেষ তদন্তকারী দল শীর্ষ আদালতকে জানায়, সমাজকর্মী এবং উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের একাংশ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের নির্দেশে তৎকালীন নরেন্দ্র মোদীর গুজরাত সরকারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চেয়েছিলেন।
জুন মাসের ২৬ তারিখ মহারাষ্ট্রের জুহুর বাড়ি থেকে তিস্তাকে এবং গুজরাতের গান্ধীনগরের বাড়ি থেকে শ্রীকুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারী দলের দাবি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে রাজ্যের জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, প্রশাসনকে কালিমালিপ্ত করেছিলেন অন্যতম অভিযুক্ত শ্রীকুমার। সনিয়া গাঁধীর প্রাক্তন রাজনৈতিক সচিব, অধুনা প্রয়াত আহমেদ প্যাটেলের নির্দেশে তিস্তা শেতলবাদকে মিথ্যা প্রচারের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy