মায়াবতীর বাড়িতে গিয়ে প্রণাম তেজস্বীর। লখনউয়ে। টুইটার
মায়াবতীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে জোট ঘোষণার দিন বিএসপি নেত্রী কংগ্রেসকে বিঁধলেও সে দিন রাহুল গাঁধী সংক্রান্ত প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছিলেন এসপি নেতা অখিলেশ যাদব। আজ সেই অখিলেশকে পাশে বসিয়ে আরজেডি নেতা তথা লালুপুত্র তেজস্বী যাদব বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপি-বিরোধিতার প্রশ্নে কংগ্রেসকে পাশে নিয়েই চলছে আঞ্চলিক দলগুলি।
উত্তরপ্রদেশে জোট ঘোষণার পরে গত কালই মায়াবতীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন লালুপুত্র। আজ অখিলেশের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। বিহারে বিজেপি-বিরোধী জোটের অভিজ্ঞতা নিয়েও কথা হয় দুই নেতার। তেজস্বীর বক্তব্য, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে জোট করে ১২০টি আসন বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সম্ভব। জোটের প্রতি তাঁর সমর্থনের কথাও জানিয়েছেন তেজস্বী। পরে অখিলেশের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনও করেন তিনি। সেখানে প্রশ্ন করা হয়, বিহারে রাহুল গাঁধীর কংগ্রেস শামিল হয়েছিল বিরোধী মহাজোটে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে এ বারের লোকসভা নির্বাচনের জন্য তৈরি জোটে কংগ্রেসকে সঙ্গে রাখেননি অখিলেশ এবং মায়াবতী। বিষয়টি কী ভাবে দেখছেন তিনি? তেজস্বী বলেন, ‘‘আমাদের সবার লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো। সাম্প্রতিক উপনির্বাচনগুলিতে আপনারা দেখেছেন যে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে হারানোর জন্য এসপি এবং বিএসপি এক হলেই যথেষ্ট। কংগ্রেসকে এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন নেই। রাহুল নিজেও জানিয়েছেন, তাঁরা জোটে থাকুন বা না থাকুন, বিজেপিকে হারাতেই হবে।’’ রাহুলের ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবে পরিচিত তেজস্বী বলেন, ‘‘বিজেপি-বিরোধিতার প্রশ্নে আমরা সবাই এক। কেউ ওখানে জিতছে, কেউ এখানে।’’
এসপি শীর্ষ সূত্রের বক্তব্য, কংগ্রেস ৮০টি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তাতে জোটের কোনও ক্ষতি হবে না। কংগ্রেস যে ভোটটা কাটবে, তা বেশির ভাগই বিজেপির উচ্চবর্ণের ভোট— এমনটাই মনে করছেন এসপি নেতারা। উত্তরপ্রদেশের বিরোধী নেতাদের বক্তব্য, এ বারের লোকসভা ভোটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে ‘দলিত-ওবিসি-মুসলমান’ এই ভোটব্যাঙ্ক। তাঁরা মনে করছেন, এই মুহূর্তে কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশে এই ত্রিস্তরীয় ভোট ব্যাঙ্কে ভাগ বসাতে পারবে না বা কৌশলগত ভাবে সেটা করতেও চাইবে না। রাহুলের লক্ষ্য, সরাসরি বিজেপিকে আক্রমণ করা। সেটা সফল হলেই লাভ সব বিরোধী দলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy