বিহারের ভোটে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়বে ‘ইন্ডিয়া’। বৃহস্পতিবার আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পুত্র তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে বিরোধী জোটের বৈঠক হয়। সেখানে কংগ্রেস, তিন বাম দলের পাশাপাশি প্রাক্তন মন্ত্রী মুকেশ সহানির দল বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)-ও উপস্থিত ছিল।
বৈঠকের পরে তেজস্বী বলেন, ‘‘এ বারের ভোটে মহাগঠবন্ধন এক সঙ্গে লড়বে। আমরা নীতীশ কুমারের মুখোশ খুলে দেব।’’ তবে আসন রফা নিয়ে এখনও বিরোধী জোটের অন্দরে মতপার্থক্য রয়েছে বলে আরজেডির একটি সূত্র জানাচ্ছে। ওই সূত্রের দাবি, এ বার কংগ্রেসকে ৫০টির বেশি আসন ছাড়তে রাজি নন তেজস্বী। আরজেডির যুক্তি, ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৭০টিতে লড়ে মাত্র ১৯টি জিতেছিল মহাগঠবন্ধনের ‘মেজো শরিক’ কংগ্রেস। কংগ্রেসের এই খারাপ ‘স্ট্রাইক রেটে’র কারণেই এনডিএ-র জয় সহজ হয়েছিল বলে বিরোধী শিবিরের একাংশের অভিযোগ। যদিও গত বছরের লোকসভা ভোটে বিহারে ২৩টি আসনে জিতে মাত্র চারটিতে জিতেছিল আরজেডি। ন’টিতে লড়ে তিনটি জেতে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা পাপ্পু যাদবকে পূর্ণিয়া আসনটি ছাড়েননি তেজস্বী। তিনি নির্দল হিসেবে লড়ে জিতেছিলেন। ওই কেন্দ্রে আরজেডি প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছিল।
২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে খারাপ ‘স্ট্রাইকিং রেটে’র জন্য কংগ্রেসের তরফে পাল্টা যুক্তি, তিন দশকের বেশি সময় ধরে বিজেপির দখলে রয়েছে, এমন ৩০টির বেশি শহরাঞ্চলীয় আসন তাদের হাতছাড়া হয়েছিল। ওই বিধানসভা ভোটে আরজেডি ১৪৪টিতে লড়ে ৭৫টি এবং তিন বাম দল ২৯টিতে লড়ে ১৬টি জিতেছিল। তার মধ্যে ১৯টি আসনে লড়ে ১২টিতে জয় পায় সিপিআইএমএল (লিবারেশন)। এ বার ইতিমধ্যেই ৩০টি আসনের দাবি তুলেছে তারা। সিপিআই ছ’টি আসনে লড়ে দু’টিতে এবং সিপিএম চারটি আসনে লড়ে দু’টিতে জিতেছিল। অন্য দিকে, আরজেডি ১৪৪টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ৭৫টিতে জয় পায়। গত বারের ভোটে এনডিএর সহযোগী হিসেবে ভিআইপি ১১টি আসনে লড়ে চারটিতে জয়ী হয়েছিল। এ বার তারা লালু-তেজস্বীর সঙ্গী।