বিহারের ভাবাবেগ কি আর তাঁকে কেন্দ্র করে ঘুরছে না! বিধানসভা ভোটের আগে বিহারের ভোটদাতাদের ‘পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী’ হিসাবে পছন্দের দৌড়ে জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার তিন নম্বরে রয়েছেন বলে সি-ভোটার জনমত সমীক্ষার ফল বলছে!
ওই জনমত সমীক্ষা জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিহারবাসীর পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পুত্র তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। ৩৬.২ শতাংশ ভোটদাতার সমর্থন রয়েছে তাঁর প্রতি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ২৩.২ শতাংশ ভোটদাতার সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন প্রাক্তন ভোটকুশলী তথা সদ্যগঠিত ‘জন সুরাজ পার্টি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান প্রশান্ত কিশোর (‘পিকে’ নামে যিনি পরিচিত)। আর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ? ১৫.৯ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়ে তিনি তিন নম্বরে!
আরও পড়ুন:
সি-ভোটার জনমত সমীক্ষায় ‘পছন্দের মুখ্যমন্ত্রী’ হিসেবে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিজেপির আর এক সহযোগী দল লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস)-র প্রধান তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ান। প্রয়াত দলিত নেতা রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্রকে পটনার কুর্সিতে দেখতে চেয়েছেন মগধভূমের ৮.৮ শতাংশ ভোটদাতা। প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে আইএএনএস-ম্যাট্রিজ় প্রকাশিত জনমত সমীক্ষা জানিয়েছিল, বিহারের ভোটদাতাদের ‘পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী’ হিসাবে পছন্দের দৌড়ে নীতীশ সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তাঁর পক্ষে রয়েছেন ৪২ শতাংশেরও বেশি ভোটদাতা! ২৩ শতাংশের সমর্থন পেয়ে ওই সমীক্ষায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তেজস্বী। ৮ শতাংশের সমর্থন নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন পিকে।
নির্বাচন কমিশন গত ৬ অক্টোবর নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে জানিয়েছে, এ বার বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনে দু’দফায় ভোট হবে। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ৬ নভেম্বর। ওই দফায় ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। ১০-১৭ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমার পর তা পরীক্ষা হবে ১৮ অক্টোবর। প্রথম দফার ভোটের প্রার্থীরা নাম প্রত্যাহার করতে পারবেন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় মোট ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ওই দফার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে ১৩ অক্টোবর। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা করা যাবে। ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রার্থীরা চাইলে নাম তুলে নিতে পারবেন। ভোটগণনা হবে ১৪ নভেম্বর।