বিধানসভা ভোটের আগে বিহারের রাজনীতিতে শুরু হল ইস্তফা এবং দলবদলের পালা। বুধবার কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা মুরারী প্রসাদ গৌতম বিধায়কপদে ইস্তফা দিয়ে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী মুরারীর ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। রোহতাস জেলার চেনারি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দু’বার কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছেন মুরারী। ২০১৫ সালে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ-আরজেডি-কংগ্রেস জোটের মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন তিনি।
অন্য দিকে, আসনরফা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝী এনডিএ-র রফাসূত্র নিয়ে বুধবার প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ১৫টি আসন না পেলে তাঁর দল ভোটে লড়বে না বলে জানিয়ে জিতনরাম বলেন, ‘‘আমরা অপমানিত বোধ করছি বলে এনডিএ নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছি। দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে আমাদের সম্মানজনক সংখ্যক আসনের প্রয়োজন। যদি আমরা প্রস্তাবিত আসন সংখ্যা না পাই, তা হলে আমরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করব না। আমরা এনডিএকে সমর্থন করব, কিন্তু নির্বাচনে লড়ব না।’’ জিতনরাম বুধবার সমাজমাধ্যমে জনপ্রিয় হিন্দি কবি রামধারী সিংহ দীনকরের একটি কবিতার কিছু লাইন পোস্ট করেছেন। মহাভারত অবলম্বনে লেখা ওই অংশটিতে তুলে ধরে তিনি লিখেছেন, ‘‘ভগবান কৃষ্ণ দুর্যোধনের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করছিলেন। যার একগুঁয়েমির ফলে মহাভারতের মহাযুদ্ধ হয়েছিল।’’
সূত্রের খবর, এ বার বিহারের ২৪৩টি আসনের মধ্যে নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং বিজেপি ১০০টি করে লড়ে বাকি আসনগুলিতে চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি (রামবিলাস), প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরামের হিন্দুস্থানি আওয়াম মোর্চা (হাম) এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার মধ্যে ভাগ করে দিতে চাইছে। যা মানতে রাজি নন চিরাগ এবং জিতনরাম। অন্তত ৩৫ আসন চান চিরাগ। জিতনরাম চান ১৫টি আসন। প্রসঙ্গত, দলিত সমাজের মধ্যেও একেবারে ‘অন্ত্যজ’ মুসহর জনগোষ্ঠীর এই নেতাকে ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে জেডিইউ-র পরে নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নীতীশের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে পরবর্তী সময়ে জিতনরাম জেডিইউ ছেড়ে নতুন দল ‘হাম’ গঠন করেছিলেন।