প্রতীকী ছবি।
বাদ গেল না বছরের শেষ দিনটাও। ফের জম্মু ও কাশ্মীরে হামলা চালাল পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিরা।
শনিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার লেথপোরায় সিআরপিএফের ট্রেনিং ক্যাম্পে হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় পাঁচ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। সিআরপিএফ সূত্রের খবর, তিন জঙ্গি হামলা চালিয়েছিলেন। বাহিনীর পাল্টা গুলিতে খতম হয়েছে দুই জঙ্গি। তবে একজন পলাতক।
বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, রাত ২.১০ মিনিট নাগাদ ক্যাম্প লক্ষ্য করে হামলা চালায় জঙ্গিরা। রাতের অন্ধকারে প্রথমে একের পর এক গ্রেনেড ছুড়তে থাকে তারা। গ্রেনেড দেখে জওয়ানরা বাইরে বেরিয়ে এলে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। ভারতীয় বাহিনীও পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে। সিআরপিএফ-এর আইজি রবিদীপ সাহি জানিয়েছেন, গুলির লড়াইয়ে এক জওয়ানের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। গুরুতর জখম তিন জওয়ান রবিবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছেন। জখম হয়েছিলেন আরও এক জওয়ান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিন দিনেই বদলা, সরাসরি পাক সেনাঘাঁটিতে আঘাত হানল ভারত
হামলা চালিয়ে এক জঙ্গি পালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দু’জন ক্যাম্পের ভিতরেই লুকিয়ে ছিল। সেই দু’জনকেই খতম করে দিয়েছে বাহিনী। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, তিন হামলাকারীর মধ্যে দু’জন পাকিস্তানি। পরে অবশ্য জানা গিয়েছে, তিন জঙ্গিই কাশ্মীরি।
আশেপাশের আরও সিআরপিএফ ক্যাম্পেও একই ভাবে হামলা হতে পারে। তেমনই খোঁজ রয়েছে সিআরপিএফের কাছে। তার জন্য আগাম সতর্কতাও জারি করা হয়েছে ক্যাম্পগুলিতে। মোতায়েন রয়েছে সিআরপিএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।
Encounter going on at @crpfindia group centre Letpora Awantipora. 50 RR 185 Bn CRPF & Police on job. Firing going on. Further details being collected. @MehboobaMufti @HMOIndia @spvaid @munirkhan_ips @DigSkr @AwantipoPolice
— J&K Police (@JmuKmrPolice) December 31, 2017
Three security personnel injured in attack by terrorists on CRPF Training Center in Awantipora, Pulwama (J&K). (visuals deferred) pic.twitter.com/CVH0opiPzv
— ANI (@ANI) December 31, 2017
২০১৬ সাল থেকেই জঙ্গি হামলার পাশাপাশি পাক বাহিনীর বারংবার হামলায় জেরবার নিয়ন্ত্রণরেখা। ১৬ নভেম্বর পুঞ্চের শাহপুর ও দেগওয়ারে বড় ধরনের মর্টার হামলা চালিয়েছিল পাক সেনা। ফলে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে গুলপুর ও নাকারকোট এলাকায় স্থানীয় স্কুল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় প্রশাসন। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৩০০ বারের বেশি সংঘর্ষবিরতি ভেঙেছে পাকিস্তান। তাতে সেনা ও স্থানীয় বাসিন্দা মিলে ১২ জন নিহত হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy