প্রবল বিরোধিতার মধ্যেই মধ্যরাতে লোকসভায় পাশ হল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল

প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে উত্তপ্ত আলোচনার শেষে সোমবার মধ্যরাতে লোকসভায় পাশ হয়ে হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বিলের সপক্ষে ভোট পড়েছে ৩১১টি এবং বিপক্ষে ৮০টি।

বিলটি পাশ হওয়ার পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, “ঐতিহাসিক এই নাগরিকত্ব সংশোধীন বিলটি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমার কৃজ্ঞতা জানাচ্ছি। যাঁরা এই বিলটিকে সমর্থন করেছেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ।”

এ দিন লোকসভায় বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিলটি নিয়ে যে সংসদে ঝড় উঠবে সেটা আগেই টের পাওয়া গিয়েছিল। বিরেধীরাও আটঘাট বেঁধে প্রস্তুত ছিলেন বিলের বিরোধিতা করার জন্য। বিলটি পেশ হওয়া মাত্রই বিরোধীরা ছেঁকে ধরেন অমিত শাহকে। বিলের একাধিক অংশ নিয়ে আপত্তি তোলে বিরোধীরা। বিলটিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলেও আখ্যা দেয় তারা। তাতেই গর্জে ওঠেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘আজ এই বিলের প্রয়োজন পড়ল কেন? স্বাধীনতার পর কংগ্রেস ধর্মের নিরিখে দেশভাগ না করলে, আজ এই বিলের প্রয়োজনই ছিল না। আমরা নই, ধর্মের নিরিখে দেশভাগ করেছিল কংগ্রেসই।’’

আরও পড়ুন: ‘ফায়ার অডিটে অজস্র ভুল’, নাম না করে শোভন জমানাকে প্রশ্নের মুখে ফেললেন সুজিত

আরও পড়ুন: ডেউচা-পাঁচামিতে হস্তক্ষেপে প্রস্তুত, বার্তা রাজ্যপালের, আরও বাড়তে পারে সংঘাত

বিল নিয়ে আলোচনা যত গড়িয়েছে কেউ অমিতের সঙ্গে তুলনা করছেন জার্মানির নাৎসি প্রধানের। কারও প্রশ্ন, বেছে বেছে কেন মুসলিমরাই বাদ? অধীর চৌধুরী বলেই ফেললেন, ‘‘দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েও যদি আপনি আমাদের রক্ষা করতে না পারেন, তা হলে কে করবে?’’ বার বার উঠে শাহ এটাই বলতে চেষ্টা করছিলেন, ধর্মের বিভাজন করে এই বিল আনা হয়নি। এই বিল ০.০০১ শতাংশও দেশের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নয়। বিরোধীরা বিলের কথা বিকৃত করছে। বিলে কোথাও মুসলিমদের নামটুকুও করা হয়নি। কিন্তু শাহ যত যুক্তি সাজিয়েছেন, বিরোধীরা তত চেপে ধরেছে।