Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Gurudwara

করোনা পরীক্ষা করিয়েই নেতা-মন্ত্রীদের প্রসাদ বিলি, সন্ধ্যায় রিপোর্ট এল পজিটিভ

কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ছিল শরীরে। করোনা পরীক্ষাও করিয়েছিলেন। তার পরেও গুরুদ্বার থেকে প্রসাদ বিতরণ করেছেন।

পঞ্জাবের একটি গুরুদ্বার।

পঞ্জাবের একটি গুরুদ্বার। ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২১ ০৯:০৯
Share: Save:

পঞ্জাবের সাঙ্গুরের এক গুরুদ্বার গ্রন্থি তিনি। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ছিল শরীরে। করোনা পরীক্ষাও করিয়েছিলেন। তার পরেও গুরুদ্বার থেকে প্রসাদ বিতরণ করেছেন। সাধারণ মানুষ ছাড়াও তাঁর কাছ থেকে প্রসাদ নিয়েছিলেন পঞ্জাবের এক মন্ত্রী এবং প্রাক্তন বিধায়কও। যে দিন দুপুরে প্রসাদ বিতরণ করেছেন, সে দিনই সন্ধ্যায় তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এই ঘটনা চিন্তা বাড়িয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য দফতরের। ওই সময়কালে যাঁরা গুরুদ্বারে এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করে করানো হচ্ছে করোনা পরীক্ষা।

পঞ্জাবের স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, ওই গ্রন্থি কোভিডের লক্ষণযুক্ত ছিলেন। ৩১ মে করোনা পরীক্ষাও করিয়েছিলেন। তবুও গুরুদ্বারে আসা বন্ধ করেননি। ১ জুন সন্ধ্যায় তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সে দিন দুপুরে গুরুদ্বারে এসে প্রসাদ বিতরণ করেন তিনি। কৃষক বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কর্মজিৎ সিংহ সম্প্রতি মারা গিয়েছেন দিল্লিতে। তাঁর জন্য প্রার্থনাও করেন। তখনই সেখানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্জাবের শিক্ষামন্ত্রী বিজয় ইন্দের সিঙ্গলা এবং সাঙ্গুরের প্রাক্তন বিধায়ক প্রকাশ চাঁদ গর্গ। ছিলেন শতাধিক ভক্তও। তাঁরা সকলেই ওই গ্রন্থির হাত থেকেই প্রসাদ নিয়েছিলেন।

ইতিমধ্যেই, ওই এলাকার বাসিন্দাদের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে। ৩০ জন গ্রামবাসী যাঁদের নমুনা নেওয়া হয়েছিল তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। সে দিন ঠিক কত জন গুরুদ্বারে উপস্থিত ছিলেন সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে খোঁজ খবর করে নমুনা পরীক্ষা করার চেষ্টা চলছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।

পঞ্জাবে এখন দৈনিক আক্রান্ত আড়াই হাজারের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। পঞ্জাবের মোট দৈনিক আক্রান্তের ৬০ শতাংশই গ্রামাঞ্চলে। সেখানকার গ্রামে মৃত্যুর হারও শহরাঞ্চলের তুলনায় বেশি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE