Advertisement
০২ মে ২০২৪
Law Commission

সর্বসম্মতির ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী! সব দলের মত চাইল আইন কমিশন

নভেম্বরের গোড়ায় মোদী সরকার আইন কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসেবে কর্নাটক হাই কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ঋতু রাজ অবস্থিকে নিয়োগ করেছিল। আরও পাঁচ জনকে কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:৩০
Share: Save:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বহু দিন ধরেই লোকসভা ও রাজ্যের বিধানসভাগুলির নির্বাচন একসঙ্গে করার পক্ষে সওয়াল করে আসছেন। ২০১৯-এ এ নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন, যদিও কংগ্রেস, তৃণমূল, এসপি, বিএসপি, ডিএমকে বৈঠকে যোগ দেয়নি।

তবে ২০১৮-তে ২১-তম আইন কমিশন খসড়া রিপোর্টে লোকসভা ও রাজ্যের বিধানসভাগুলিকে একসঙ্গে নির্বাচন করানোর বিষয়ে সুপারিশ করে। এ বিষয়ে সকলের মতামতও চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকে গত চার বছর আইন কমিশনের সমস্ত পদ ফাঁকাই পড়েছিল। নতুন করে আইন কমিশন গঠনের পর ফের এ নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে।

নভেম্বরের গোড়ায় মোদী সরকার আইন কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসেবে কর্নাটক হাই কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ঋতু রাজ অবস্থিকে নিয়োগ করেছিল। আরও পাঁচ জনকে কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়। গত ২৯ নভেম্বর আইন কমিশনের বৈঠকে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন করানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। ঠিক হয়, এ নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, আমলা, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞদের কাছে ফের মতামত চাওয়া হবে। এর পর ১৬ ডিসেম্বর ছয়টি বিষয়ে মতামত জানতে চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে আইন কমিশন। এখন ভোটের পরে ত্রিশঙ্কু লোকসভা বা বিধানসভা হলে সাধারণত কিছু দিন পরে নতুন করে নির্বাচন করানোর দরকার পড়ে। এই সমস্যা এড়াতে লোকসভা বা বিধানসভায় সর্বসম্মতির ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করা যায় কি না, তা নিয়েও আইন কমিশন ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। সে ক্ষেত্রে সংবিধানের দশম তফসিলে সংশোধন করার দরকার বলে প্রাথমিক ভাবে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তা কতটা সংশোধন করতে হবে, তা নিয়ে মত চাওয়া হয়েছে। খাতায়-কলমে লোকসভা, বিধানসভায় সর্বসম্মতির ভিত্তিতে স্পিকার নির্বাচিত হয়ে থাকেন। যদিও বাস্তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ভোটে জেতা শাসক দলই নিজের দলের কাউকে স্পিকার নির্বাচিত করে।

ঘটনাচক্রে, আইন কমিশন যে দিন সকলের মতামত চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, সে দিনই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু সংসদে যুক্তি দিয়েছিলেন, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করলে সরকারের খরচ বাঁচবে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী যুক্তি দিয়েছিলেন, ভিন্ন ভিন্ন সময়ে নির্বাচনের ফলে নির্বাচনী আচরণবিধি জারি হওয়ায় উন্নয়নের কাজ বাধা পায়। একসঙ্গে সব নির্বাচন হয়ে গেলে সেই সমস্যা মিটবে। বিরোধীদের অভিযোগ, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার লক্ষ্যেই লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করার দাবিতে সরব রয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

সিপিএমের দাবি, এটা আইন কমিশনের এক্তিয়ারের বাইরে। এর আগেও সিপিএম এর বিরোধিতা করেছিল। দলের পলিটবুরো সদস্য নীলোৎপল বসু বলেন, ‘‘একসঙ্গে নির্বাচন করতে গেলে কোনও বিধানসভার মেয়াদ ছাঁটতে হবে। সেটা সংবিধান বিরোধী।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Law Commission parliament
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE