কোনও সমাধানসূত্র নেই। নেই শান্তি ফেরার আশু সম্ভাবনাও। দুই তরফে এখনও মুখ দেখাদেখি বন্ধ। পাহাড়-সমতলে পুরোপুরি বন্ধ যোগাযোগ। আড়াই মাস ধরে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে রাজ্যে, কিন্তু নির্বাচিত সরকার ফেরানোর কোনও উদ্যোগ কেন্দ্রের তরফে চোখে পড়ছে না। এমনই, কার্যত দ্বিখণ্ডিত অবস্থাকে সঙ্গে নিয়েই মণিপুরে মেইতেই-কুকি সংঘর্ষ ২ বছর পূর্ণ করতে চলেছে শনিবার, ৩ মে।
তারিখ উদ্যাপনে দুই তরফেই বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। কুকিরা রাজ্যের পাশাপাশি দিল্লিতেও পালন করবে বিচ্ছিন্নতা দিবস। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে রাজ্য জুড়ে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইম্ফলের খুমান লাম্পাকে মেইতেইরা শনিবার এক গণ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। মেইতেই সামাজিক সংগঠন, মণিপুর ইন্টিগ্রিটি সমন্বয় কমিটি, জনসাধারণকে ৩ মে অন্য সব কার্যক্রম স্থগিত রেখে সম্মেলনে যোগ দিতে বলেছে। সংঘাতের শিকারদের প্রতি মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলিও জানানো হবে। কুকি স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন এবং জোমি স্টুডেন্টস ফেডারেশন ৩ মে কুকি-অধ্যুষিত সমস্ত এলাকায় বন্ধ ও সব বাড়িতে কালো পতাকা তোলার ডাক দিয়েছে। কাংগুলে কোটুর নেতৃত্বে সমবেত প্রার্থনা, স্মরণসভা, সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। চূড়াচাঁদপুরেও স্মারক প্রাচীরে প্রার্থনা ও সমাবেশের আয়োজন হয়েছে।
এ দিকে, থাডৌ সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ সংস্থা থাডো ইনপি মণিপুর, প্রতি বছর ৩ মে তারিখকে ‘শান্তি দিবস’ হিসেবে সম্মিলিত ভাবে পালন করার ডাক দিয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)