অযোধ্যার রামমন্দির। —ফাইল চিত্র।
অযোধ্যার রামমন্দিরের গর্ভগৃহে রামের কোন মূর্তিটি স্থাপন করা হবে, তা ঠিক করতে কিছু দিন আগে ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়েছিল। সেই ভোটাভুটিতে একটি মূর্তি নির্বাচিতও হয়েছে। যদিও তিনটির মধ্যে কোন মূর্তিটি গর্ভগৃহের প্রধান আসনে থাকবে, আনুষ্ঠানিক ভাবে তা এখনও জানায়নি শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। তবে সূত্রের খবর, মন্দিরের গর্ভগৃহের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ভগবান রামের একটি বাল্যমূর্তি।
নির্বাচিত মূর্তিটিতে রামের পাঁচ বছর বয়সি রূপের আদল ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মূর্তিসজ্জার জন্য তাঁর হাতে আলাদা করে বসানো হয়েছে তির এবং ধনুক। মূর্তিটির উচ্চতা ৫১ ইঞ্চি। তুলসীদাস রচিত রামচরিতমানস এবং মহর্ষি বাল্মীকির রামায়ণ মহাকাব্যে রামের যে রূপ বর্ণনা করা হয়েছে, হুবহু সেই আদলেই এই মূর্তি গঠিত।
মন্দিরের গর্ভগৃহে মূর্তির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষ কৌশলে ওই মূর্তির কপালে সরাসরি এসে পড়বে সূর্যের আলো। আয়নার প্রতিফলন ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে এই ব্যবস্থা করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। জনৈক কর্মী জানান, পাইপের মাধ্যমে সূর্যের আলো বিগ্রহের কপালে ফেলা হবে। গর্ভগৃহের একেবারে কেন্দ্রে আলো এসে পড়বে। তবে এই ব্যবস্থা কেবল রামনবমী তিথির জন্য।
রামের তিনটি মূর্তির মধ্যে ভোটাভুটি হয়েছিল। তিনটি বিগ্রহই মন্দিরে থাকবে এবং সমান গুরুত্ব পাবে। ওই তিন মূর্তি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, আগামী ১০০০ বছরে তার কোনও সংস্কারের প্রয়োজন হবে না।
মূর্তিতে রামের চোখ পদ্মের পাপড়ির মতো। তাঁর মুখে চন্দ্রের দীপ্তি লেগে আছে। তাঁর দুই হাত হাঁটুর কাছে ঝুলিয়ে রাখা এবং মুখে লেগে আছে স্মিত হাসি। এই মূর্তিই আগামী ২২ জানুয়ারি কোলে করে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত নিয়ে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পর যথাস্থানে তা স্থাপন করবেন। তাঁর হাত দিয়েই প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে রামলালার মূর্তিতে।
রামের যে মূর্তি আগে থেকেই মন্দিরে রয়েছে, তাকে এর পর থেকে বলা হবে ‘অচলমূর্তি’। নতুন মূর্তিকে বলা হবে ‘উৎসবমূর্তি’। মন্দির চত্বরে অনেক দূর থেকেও এই বিগ্রহ দর্শন করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy