আমেরিকা থেকে অবৈধবাসী ভারতীয়দের নিয়ে বুধবার দুপুরে পঞ্জাবের অমৃতসরে শ্রী গুরু রামদাসজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে পারে আমেরিকার বিমান। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না তৈরি হয়, তা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে পঞ্জাব পুলিশকে। আঁটসাঁট করা হয়েছে অমৃতসরের নিরাপত্তা। তবে বিমানটি ঠিক কোন সময়ে ভারতের মাটি স্পর্শ করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পঞ্জাব পুলিশের ডিজি গৌরব যাদব জানিয়েছেন, অবৈধ অভিবাসীদের জন্য বিমানবন্দরে আলাদা কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরই সে দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হন। এমন অভিবাসীদের চিহ্নিত করে ধরপাকড়ও শুরু করে আমেরিকার প্রশাসন। ইতিমধ্যে আমেরিকায় বসবাসকারী বেশ কয়েকটি দেশের অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে শুরু করে আমেরিকা। তার মধ্যে ভারতও রয়েছে। মঙ্গলবার অবৈধ অভিবাসীদের ভারতে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে হোয়াইট হাউস। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আমেরিকার সামরিক বিমান ‘সি-১৭’-এ চাপিয়ে তাঁদের ভারতে পাঠানো হচ্ছে।
কত জন ভারতীয়কে আমেরিকা থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, দু’শোর বেশি ভারতীয়কে ফেরানো হচ্ছে আমেরিকার সামরিক বাহিনীর ওই বিমানে। মঙ্গলবার সান আন্তোনিও থেকে ওই বিমানটি উড়েছে ভারতের উদ্দেশে। যদিও এ ব্যাপারে ভারতের পক্ষ থেকে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ভারতের মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্রও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। একটি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, ওই বিমানটি অমৃতসরের কাছাকাছি কোনও সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করবে।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমেরিকায় গিয়ে অবৈধ অভিবাসন প্রসঙ্গে দিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আমেরিকায় কোনও অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী রয়েছেন কি না, তা নিয়ে মন্তব্য করেননি বিদেশমন্ত্রী। সম্প্রতি ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর বলেন, “অভিবাসনের ক্ষেত্রে আমাদের একটি নীতিগত অবস্থান রয়েছে, যা প্রতিটি দেশের জন্যই প্রযোজ্য। আমরা বৈধ অভিবাসন সব সময় সমর্থন করি।’’
এই আবহের মধ্যেই গত ২৭ জানুয়ারি ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। পরে আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে ট্রাম্প জানান, সম্ভবত ফেব্রুয়ারিতেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।।