অহমদাবাদে যে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল তার ডান দিকের ইঞ্জিন পরিবর্তন করা হয়েছিল মার্চ মাসে। বাঁ দিকের ইঞ্জিনটি পরীক্ষা করা হয়েছিল গত এপ্রিলে। এমনটাই জানিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্যাম্পবেল উইলসন। তাঁর দাবি, সুরক্ষার দিকে নজর রেখে নিয়মমাফিক পর্যবেক্ষণও করা হয়েছিল।
মহারাজা ক্লাবে মেল করে উইলসন জানিয়েছেন, ‘‘২০২৩ সালের জুন মাসে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিদর্শন করা হয়েছিল। পরের পরিদর্শনের দিন নির্ধারিত হয়েছিল ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে।’’ এয়ার ইন্ডিয়ার সুরক্ষা নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর দাবি, উড়ানের আগে বিমানের ইঞ্জিনে কোনও রকমের সমস্যা দেখা যায়নি। দক্ষতা প্রসঙ্গে সংস্থার আধিকারিক জানিয়েছেন, ১৩ হাজার ৪০৯ ঘণ্টা উড়ানের অভিজ্ঞতা ছিল পাইলট সুমিত সাভারওয়াল ও ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্ডারের। তিনি আরও বলেন, ‘‘এয়ার ইন্ডিয়ার সমস্ত বিমানকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরিদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২৬টি বিমানের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তার পরেই সেগুলি ওড়ার জন্য অনুমতি পেয়েছে।’’
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরও সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য সমস্ত বোয়িং-৭৮৭ বিমানকে বাড়তে গুরুত্ব দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। অন্য দিকে, বিমানের প্রস্থও কমানো হবে প্রায় ১৫ শতাংশ। এই প্রক্রিয়া চলবে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত।
বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা সূত্রে খবর, অহমদাবাদ দুর্ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়ার মোট ৬৬টি ড্রিম লাইনার বিমান বাতিল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই নিজেদের সংস্থার সুরক্ষা নিয়ে মন্তব্য করলেন উইলসন।