ওরা দেখতে অবিকল এক রকম। তবে সৌরভ ও সঞ্জীব বর্মা যে যমজ ভাই তা জানত খুব কম লোকে। ওরা একই রকম জামাকাপড় পরত। একসঙ্গে খুব কম থাকত। আর সেটাই পুঁজি করে একের পর এক ডাকাতি করেও পার পেয়ে যেত দু’জনে। তবে শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ে অপরাধ স্বীকার করতে বাধ্য হল সৌরভ ও সঞ্জীব। রুপোলি পর্দার গল্প নয়, বাস্তবে পুলিশকে নাকানি-চোবানি খাইয়ে শেষে ধরা পড়ল মধ্যপ্রদেশের এই যমজ দুই ভাই।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনে মিলে ছক কষে ডাকাতি করত। এক জন যখন লুটপাটে ব্যস্ত, তখন অন্য জন এমন জায়গায় উপস্থিত থাকত, যাতে সিসি ক্যামেরায় তার উপস্থিতি ধরা পড়ে। পরে পুলিশ অভিযুক্তকে ধরলে সে নিজের অন্যত্র উপস্থিতির দাবি করত। ফলে ধন্দে পড়তেন তদন্তকারীরা। গত ২৩ ডিসেম্বর মউগঞ্জে একটি ফাঁকা বাড়িতে একসঙ্গে হানা দেয় দু’জনে। সেই বাড়ি থেকে নগদ লক্ষাধিক টাকা, সোনার গয়না চুরি করে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার মধ্যে ছিল সৌরভ। এ দিকে ভাইকে বাঁচাতে ছক কষে সঞ্জীব। থানায় এসে দাবি করে যে সেই আসলে সৌরভ এবং সে নির্দোষ। ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে ধাঁধা লেগে যায় তদন্তকারী অফিসারের। এক সময় পুলিশের সন্দেহ হয় যে কারাগার ভেঙে পালিয়েছে ধৃত। পরে ভুল ভাঙে। লাগাতার জেরার মুখে এক সময় ভেঙে পড়ে সঞ্জীব। দোষ কবুল করে। অভিযুক্তদের থেকে চুরি যাওয়া গয়না উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)