Advertisement
E-Paper

পর্দায় ‘অবমাননা’ করা যাবে না বিশেষ ভাবে সক্ষমদের! নির্দেশিকা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট

একটি হিন্দি ছবিতে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের সার্বিক চিত্রায়ণ নিয়ে আপত্তি তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। সেই মামলাটি ওঠে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪ ১৩:৪৪

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

সিনেমা বা অন্য যে কোনও দৃশ্যমাধ্যমে শারীরিক প্রতিবন্ধী বা বিশেষ ভাবে সক্ষমদের ‘অমর্যাদা’ করা যাবে না। সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত এই নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে এ-ও বলা হয়েছে যে, বিশেষ ভাবে সক্ষমদের বর্ণনা দিতে ‘পঙ্গু’, ‘বিকলাঙ্গ’ বা ‘জড়বুদ্ধি’-র মতো শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। কারণ, সাধারণ সামাজিক ধ্যানধারণায় ওই শব্দগুলির অবমাননাকর অর্থ রয়েছে।

একটি হিন্দি ছবিতে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের চিত্রায়ণ নিয়ে আপত্তি তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন নিপুণ মলহোত্র নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলাটি সোমবার ওঠে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। তিনি বলেন, ‘‘শব্দ অনেক সময়েই প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য গড়ে দেয়। বিশেষ করে পঙ্গু, বিকলাঙ্গের মতো কিছু শব্দকে অবমাননাকর বলে মনে করা হয় আমাদের সমাজে।’’ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ তাই দৃশ্যমাধ্যমে ওই ধরনের শব্দের ব্যবহার এবং বিশেষ ভাবে সক্ষমদের অবমাননা প্রসঙ্গে কিছু নির্দেশিকা বেঁধে দিয়েছে দৃশ্যমাধ্যমের জন্য।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলে, ‘‘দৃশ্যমাধ্যমগুলির উচিত বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জীবনের অন্য বৈচিত্রময় বাস্তবগুলিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে সে গুলিকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা। শুধু তাঁদের অসুবিধা বা সমস্যার কথা না বলে তাঁদের সাফল্য, মেধা, সমাজে অবদানের কথাও জানানো।’’

ওই নির্দেশ দেওয়ার পরে প্রধান বিচারপতি জাতীয় ফিল্ম সার্টিফিকেশন সংস্থা সিবিএফসি-কে বলেছেন, এ ধরনের যে কোনও ছবির প্রদর্শনের আগে সিবিএফসি-র উচিত বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া।

Suprme Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy