Advertisement
E-Paper

আইনশৃঙ্খলা যৌথ তালিকায় আনার যুক্তি আছে: গগৈ

সংবিধানে রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত বলে যে ৬১টি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম আইনশৃঙ্খলা। সেখানে কেন্দ্রের নাক গলানোর অভিযোগ ঘিরে প্রায়ই বিরোধ বাধে পশ্চিমবঙ্গের মতো বিরোধী শাসিত রাজ্যের সঙ্গে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৯ ০৩:১০
 প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। পিটিআইয়ের ফাইল চিত্র।

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। পিটিআইয়ের ফাইল চিত্র।

আইনশৃঙ্খলাকে সংবিধানের যৌথ তালিকায় নিয়ে আসার দাবির পিছনে যুক্তি রয়েছে বলে মন্তব্য করলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। আজ দিল্লিতে সিবিআইয়ের প্রথম ডিরেক্টর ডি পি কোহলি স্মারক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘‘ক্রমশ বেড়ে চলা আন্তঃরাজ্য অপরাধ মোকাবিলায়, আইনশৃঙ্খলাকে যৌথ তালিকায় নিয়ে আসার পক্ষে যুক্তি দেওয়া যায়।’’

সংবিধানে রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত বলে যে ৬১টি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম আইনশৃঙ্খলা। সেখানে কেন্দ্রের নাক গলানোর অভিযোগ ঘিরে প্রায়ই বিরোধ বাধে পশ্চিমবঙ্গের মতো বিরোধী শাসিত রাজ্যের সঙ্গে। যার জেরে এ রাজ্যে তদন্তের ব্যাপারে সিবিআই-কে দেওয়া সার্বিক অনুমতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আজ প্রধান বিচারপতি বলেছেন, শুধুমাত্র অপরাধের তদন্তের জন্যই আইনশৃঙ্খলাকে যৌথ তালিকায় নিয়ে আসার পক্ষে যুক্তি দেওয়া যেতে পারে। রাজ্যের অনুমতি না মেলায় বা দেরিতে মেলায়, সিবিআইয়ের তদন্তে সমস্যা হচ্ছে বলে তাঁর মত।

তা বলে সিবিআই-কে ছেড়ে কথা বলেননি প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘একগুচ্ছ হাই-প্রোফাইল ও রাজনৈতিক ভাবে স্পর্শকাতর মামলায় সিবিআই আদালতের মানদণ্ডে উতরোতে পারেনি।’’ তাকে রাজনৈতিক ভাবে নিয়ন্ত্রণের অভিযোগও উঠেছে বারবার। প্রধান বিচারপতি এ দিন বলেন, সিবিআইয়ের ক্ষমতা, তার উপরে নজরদারি, নিয়ন্ত্রণ, দায়িত্ব, প্রশাসনিক কাঠামো স্পষ্ট করতে সার্বিক আইন আনা হোক।

বফর্স দুর্নীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মুলায়ম-অখিলেশ যাদবের বিরুদ্ধে বেআইনি সম্পত্তি
মামলাতেও সিবিআই তদন্ত আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সারদা-রোজ ভ্যালি কেলেঙ্কারির তদন্ত গত পাঁচ বছরে কত দূর এগিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রধান বিচারপতির মতে, এতে গোটা ব্যবস্থায় সমস্যা, প্রতিষ্ঠানের নকশা, কর্মসংস্কৃতি ও প্রশাসনিক রাজনীতির মধ্যে সমস্যা রয়েছে বোঝা হয়।

প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, অফিসার পদে ১৫ শতাংশ, আইনি অফিসার পদে প্রায় ২৮ শতাংশ এবং প্রযুক্তি দফতরে ৫৬ শতাংশের বেশি পদ খালি পড়ে রয়েছে। এতে কাজের চাপ বাড়ে। দক্ষতা কমে যায়। প্রধান বিচারপতির অভিযোগ, কর্মীদের প্রশিক্ষণ, যন্ত্রপাতি ও অন্য পরিকাঠামোয় যথেষ্ট খরচ হচ্ছে না। শীর্ষস্তরে দ্বন্দ্বের ধাক্কা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করা, কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে কড়া ভাবে দায়বদ্ধতা স্থির করা দরকার বলেও তাঁর অভিমত।

Chif Justice of India Ranjan Gogoi Concurrent list Law and Order CBI
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy