Advertisement
E-Paper

যোগ্য নেতা নেই বিরোধী জোটে, দাবি গগৈয়ের

২০১১ সালের নির্বাচনে পরে তরুণ গগৈ বলেছিলেন, “আর নয় এটাই আমার শেষ মুখ্যমন্ত্রী হওয়া। আর নির্বাচনে লড়ব না।” আশায় বুক বাঁধেন দলের অন্য অনেক নেতা। বিকল্প মুখ্যমন্ত্রীর নামও ভাবা শুরু হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৬ ০৪:০০
সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। পাশে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন দত্ত। রবিবার গুয়াহাটির রাজীব ভবনে।  ছবি :উজ্জ্বল দেব।

সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। পাশে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন দত্ত। রবিবার গুয়াহাটির রাজীব ভবনে। ছবি :উজ্জ্বল দেব।

২০১১ সালের নির্বাচনে পরে তরুণ গগৈ বলেছিলেন, “আর নয় এটাই আমার শেষ মুখ্যমন্ত্রী হওয়া। আর নির্বাচনে লড়ব না।”

আশায় বুক বাঁধেন দলের অন্য অনেক নেতা। বিকল্প মুখ্যমন্ত্রীর নামও ভাবা শুরু হয়। কিন্তু মত বদলে পরে গগৈ জানান, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তিনিই হবেন দলের প্রধান সেনাপতি। কিন্তু বর্ষীয়ান গগৈ আর কত দিন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে দলের অন্দরেই। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উঠে আসছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন দত্ত এবং চা-গোষ্ঠীর নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পবন সিংহ ঘাটোয়ারের নাম।

কিন্তু গগৈ আজ ফের বলেন, “দলের ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত। আর হাইকম্যান্ড চাইলে আমি মুখ্যমন্ত্রী হতে অরাজি নই।” সেই সঙ্গে তিনি জানান, তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে অঞ্জন দত্ত বা ঘাটোয়ার থাকলেও শেষ সিদ্ধান্ত সনিয়া গাঁধীর।

দলে নেতৃত্ব বদল নিয়ে চলতে থাকা টানাপড়েনের প্রশ্ন উড়িয়ে গগৈ পাল্টা বলেন, “আমাদের দলে তো তাও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিন জনের নাম আলোচনা হচ্ছে। বিরোধী জোটে তো মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার মতো একজন লোকও নেই।” এর আগেও বিজেপি-অগপ-বিপিএফ জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে বহুবার ব্যঙ্গ করেছেন গগৈ। বলেছেন, সোনোয়াল মোদীর হাতের পুতুল। ক্ষমতাহীন ওই এমন নেতার জন্যে তাঁর মায়া হয়। আজ গগৈ দাবি করেন, রাজ্য বিজেপির নেতাদের রিমোট টিপে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করেন রাম মাধবের মতো কেন্দ্রীয় নেতারা। স্থানীয় নেতাদের কারও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাই নেই। গগৈ বলেন, “অদক্ষতার জন্য সর্বানন্দকে দুটি মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়ার পরেও একটি মন্ত্রক ফেরত নিতে বাধ্য হন মোদী। সর্বা রাজ্যে সাউথ এশিয়ান গেমসের আয়োজন করেছেন বটে, কিন্তু তার পরিকাঠামো কিন্তু আমরাই গড়েছি।”

গগৈয়ের মতে বিজেপি শুধু মিথ্যে বলে আর মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভোট আদায় করতে চাইছে।

তিন দশকের রাজনৈতিক জীবনে অসম সংক্রান্ত কী কী বিষয় সংসদ ও বিধানসভায় উত্থাপন করেছেন গগৈ তা নিয়ে আজ রাজীব ভবনে পুস্তিকা প্রকাশ করেন তিনি। চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন, বিরোধীদের কোনও নেতা অসমের জন্য এত সরব ও সক্রিয় হয়ে থাকলে তার নমুনা পেশ করা হোক। অসমে এত কুশাসন থাকলে তা নিয়ে বিজেপি-অগপ সাংসদরা কেন সংসদে সরব হননি?

তাঁর দাবি, ১৫ বছর শাসনের পরে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা থাকলেও কংগ্রেস অন্তত ৬০টি আসনে জিতবে।

Gogoi opposition alliance
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy