অবশেষে ভারতীয় সেনা তিনটি মার্কিন অ্যাপাচে যুদ্ধ হেলিকপ্টার পেল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, সোমবার প্রথম দফায় তিনটি ‘অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই’ হেলিকপ্টার এসে পৌঁছেছে। সেগুলি মোতায়েন করা হবে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী জোধপুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে।
চলতি মাসের গোড়ায় আমেরিকার প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথকে ফোন করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ চুক্তির সময়সীমা মেনে অ্যাডভান্সড অ্যাটাক কপ্টার সরবরাহের জন্য তাগাদা দিয়েছিলেন। তার পরেই এই পদক্ষেপ করেছে পেন্টাগন। সেনা সূত্রের খবর, অ্যাপাচে কপ্টারের এই নতুন সংস্করণ একসঙ্গে ১২৮টি লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করতে পারে। যুগপৎ আঘাত হানতে পারে ১২টি লক্ষ্যে। হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেটের পাশাপাশি অ্যাপাচেতে রয়েছে ৩০ এমএম অটোক্যানন, যা থেকে দু’মিনিটে ১,২০০ রাউন্ড গুলি ছোড়া যায়।
প্রয়োজনে মিনিটে ২৮০০ ফুট উচ্চতায় উঠে যেতে পারে আমেরিকায় তৈরি এই যুদ্ধ কপ্টার। ভারতের পাশাপাশি আমেরিকা ও ইজ়রায়েলের বায়ুসেনা ওই হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। মার্কিন বোয়িং সংস্থার তৈরি ২২টি অ্যাপাচে-৬৪ অ্যাটাক হেলিকপ্টার কেনার বিষয়ে ২০১০ সালে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৎকালীন মনমোহন সিংহ সরকার। উদ্দেশ্য ছিল, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত সোভিয়েত জমানার এমআই-৩৫ অ্যাটাক হেলিকপ্টারগুলি ধাপে ধাপে সরিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনাকে দেওয়া হবে অ্যাপাচে। তবে এ বার আসা তিনটি অ্যাপাচে ব্যবহার করবে ভারতীয় স্থলসেনার শাখা ‘আর্মি অ্যাভিয়েশন কোর’।
২০১৯-২০ সালে কয়েকটি অ্যাপাচে এসেছিল ভারতে। পঠানকোটে বায়ুসেনার ১২৫ হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রনের পাইলটদের অ্যাপাচে কপ্টারের প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছিল। সেগুলির যুদ্ধসক্ষমতায় বায়ুসেনা সন্তুষ্ট হওয়ায় ২০২০ সালে ছ’টি ‘অ্যাপাচে-৬৪ই’ হেলিকপ্টার কেনার জন্য আমেরিকার সঙ্গে ৬০ কোটি ডলারের (প্রায় ৫১৭৮ কোটি টাকা) চুক্তি হয়েছিল ভারতের। কিন্তু নতুন চুক্তি অনুযায়ী নতুন সংস্করণ পায়নি বায়ুসেনা, যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিল নয়াদিল্লি। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হল সোমবার।