পায়েল তদভি।
জাতিবিদ্বেষের শিকার হয়েই বিওয়াইএল নায়ার হাসপাতালের রেসিডেন্ট চিকিৎসক পায়েল তদভি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন, অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁর মা। পায়েলের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ভক্তি মেহরকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই কাণ্ডে এ বার গ্রেফতার করা হল মুম্বইয়ের অগ্রীপাড়ার আরও দুই চিকিৎসককে। ভক্তি ছাড়াও অন্য দুই চিকিৎসক হেমা আহুজা ও অঙ্কিতা খণ্ডেলওয়ালের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়। এই দুই চিকিৎসককে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভক্তি-সহ অভিযুক্ত তিন চিকিৎসকের সদস্যপদ খারিজ করেছে ‘মহারাষ্ট্র অ্যাসোসিয়েশন অব রেসিডেন্ট ডক্টরস’। উপযুক্ত তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে। ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা জারি করা হয়েছে।
২২ মে আত্মঘাতী হন পায়েল। এর পরই তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশনও নোটিস পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। বিওয়াইএল নায়ার হাসপাতালের সামনে পায়েলের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান তাঁর মা আবেদা ও স্বামী সলমন। পায়েলের মৃত্যুর প্রতিবাদে শামিল হয়েছে ‘বঞ্চিত বহুজন আঘাদি’ এবং আরও অনেক দলিত এবং আদিবাসী সংগঠন। তদভি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে কংগ্রেসের নাকের ডগায় ১৩০ কোটি টাকার গুজরাত!
পায়েলের মা আবেদার কথায়, ‘‘পায়েলের মতো পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের সদস্যদের মৃত্যুর দায়িত্ব কি নেবে সরকার?’’ তাঁর অভিযোগ, পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের সদস্য হওয়ায় পায়েলকে নিয়মিত মানসিক নির্যাতন করতেন অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক। রোগীদের সামনেও মেয়ের মুখে ফাইল ছুড়ে মেরেছেন তাঁরা, এমন অভিযোগও করেন তিনি। পায়েলের স্বামী সলমনের অভিযোগ, তিন চিকিৎসক তাঁর স্ত্রীকে খুনও করে থাকতে পারেন।
আরও পড়ুন: দল বদলে গেরুয়া শিবিরে ৩ বঙ্গ বিধায়ক, রং বদলাল ৪ পুরসভা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy