মণিপুর হিংসার একটি ছবি। —ফাইল চিত্র।
দু’সপ্তাহের সাময়িক শান্তির পরে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মণিপুর। সাড়ে তিন মাস ধরে গোষ্ঠী হিংসায় দীর্ণ উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটি। শুক্রবার সকালে সে রাজ্যের উখরুল জেলায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। চলে গুলির লড়াইও। লড়াই থামার পর দেখা যায় কুকি অধ্যুষিত থোয়াই গ্রামের তিন বাসিন্দাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে ওই তিন জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনার পর নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে মণিপুরে। কুকি সংগঠনগুলির দাবি, মেইতেইরা খুন করেছে ওই তিন জনকে। নতুন করে যাতে অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য ওই গ্রামে অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হয়েছে। মৃতদের তিন জনই যুবক। তাঁদের নাম জামখোগিন হাওকিপ, থাঙখোকাই হাওকিপ এবং হ্যালেনসন বাইতে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy