Advertisement
E-Paper

ভিডিয়ো ফুটেজ সংরক্ষণ করুন, দিল্লি হাইকোর্টে জেএনইউয়ের তিন শিক্ষক

দিল্লি হাইকোর্টে হামলার তথ্যপ্রমাণ সংরক্ষণের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করেছেন তিন শিক্ষক (অমাত পরমেশ্বরন, অতুল সুদ এবং শুক্লা বিনায়ক)।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২০ ১৪:৫২
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন এবং পড়ুয়াদের মিছিল। ছবি: পিটিআই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন এবং পড়ুয়াদের মিছিল। ছবি: পিটিআই।

গত রবিবার জেএনইউয়ে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের উপর হওয়া হামলার ঘটনার সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সংরক্ষণের আবেদন নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে গেলেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই তিন শিক্ষক। দিল্লি হাইকোর্টে হামলার তথ্যপ্রমাণ সংরক্ষণের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করেছেন ওই তিন শিক্ষক (অমাত পরমেশ্বরন, অতুল সুদ এবং শুক্লা বিনায়ক)।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ আইনজীবী অভীক চিমনি, মানব কুমার এবং রোশনী নাম্বুদিরি ওই তিন শিক্ষকের হয়ে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার উদ্দেশ্য ওই দিন হামলার সময়ের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ, ‘ইউনিটি এগনেস্ট লেফ্ট’, ‘ফ্রেন্ডস অব আরএসএস’ মতো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যে সমস্ত মেসেজ চালাচালি হয়েছিল এবং যে সমস্ত নম্বর থেকে সেই মেসেজগুলো এসেছিল, সব তথ্যই যেন দিল্লি পুলিশ সুরক্ষিত রাখে, কারণ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ওগুলোই হল আন্দোলনকারীদের মূল অস্ত্র।

এ দিকে উপাচার্য এম জগদীশ কুমারকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা এবং বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে অনড় পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মান্ডি হাউস থেকে শাস্ত্রী ভবন পর্যন্ত পদযাত্রা করে মিছিল নিয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জেএনইউটিএ। তাতে জেএনইউয়ের অধ্যাপক, ছাত্রছাত্রী ছাড়াও পা মেলান অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও শিক্ষক, সমাজকর্মী এবং সাধারণ মানুষ। ছিলেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাট, বৃন্দা কারাট, সিপিআই নেতা ডি রাজা, কংগ্রেস নেতা মুকুল ওয়াসনিক, জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদ জেএনইউএসইউয়ের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কানহাইয়া কুমার প্রমুখ।

আরও পড়ুন: জেএনইউয়ের মিছিলে ফের লাঠি পুলিশের

সেখানে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে উচ্চশিক্ষা সচিব অমিত খারের কাছে নিজেদের দাবি জানান তাঁরা। বৃহস্পতিবার পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠকের পর আজ, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ জেএনইউয়ের উপাচার্যকে তলব করে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। বিকেলে পড়ুয়াদের সঙ্গেও একটি বৈঠক রয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের। এই দুই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা বিকেল চারটেয় একটি সাংবাদিক বৈঠক করে জানাবে মন্ত্রক।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরে নেট বন্ধ কেন, ৭ দিনের মধ্যে পর্যালোচনা চায় সুপ্রিম কোর্ট

পড়ুয়াদের মূলত দুটি দাবি নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা। ফি বৃদ্ধি প্রত্যাহার এবং উপাচার্যের বরখাস্ত। আজ, সকাল সাড়ে ১১টায় মন্ত্রক উপাচার্যকে তলব করায় অনেকেই মনে করেছিলেন, পড়ুয়াদের দাবি মেনে তাঁকে হয়তো অপসারণ করা হতে পারে। তবে উপাচার্যকে বরখাস্ত যে কোনও সমাধান নয়, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন উচ্চশিক্ষা সচিব অমিত খারে।

আরও পড়ুন: টাটা সন্সে সাইরাস মিস্ত্রির পুনর্বহাল স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট

পিটিআইকে উচ্চশিক্ষা সচিব অমিত খারে জানিয়েছেন, “পড়ুয়াদের ফি বৃদ্ধির দাবির দিকে নজর দিতে হবে, এই সমস্যার সমাধান করে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে চাই।” পড়ুয়াদের দাবি মেনে উপাচার্যকে যে তিনি বরখাস্তের কথা ভাবছেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়ে বলেছেন, “উপাচার্যকে বরখাস্ত করা কোনও সমাধান নয়। সমস্যার সমাধান করতে হবে আগে, তা সমাধানের জন্য উপাচার্যের স্থানে অন্য কাউকে আনাটা জরুরি নয়।”

ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত আড়াই মাস ধরে যে আন্দোলন চালাচ্ছেন জেএনইউ পড়ুয়ারা, তা সমাধানের জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে কোনওরকম সার্ভিস বা ইউটিলিটি ফি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রক। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) চিঠি লিখে এই ইউটিলিটি এবং সার্ভিস চার্জের জন্য অতিরিক্ত ফান্ডের আবেদনও করেছেন, জানান উচ্চশিক্ষা সচিব অমিত খারে।

JNU Delhi High Court জেএনইউ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy