পোষ্য গরুকে খেয়ে নিয়েছিল বাঘিনী। ‘প্রতিশোধ’ নিতে বাঘিনী এবং তার চার শাবককে বিষ দিনে খুনের অভিযোগ উঠল তিন জনের বিরুদ্ধে। বাঘিনী এবং তার শাবকদের বিষ দিয়ে খুন করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে বন দফতর। ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় জড়িত তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, একটি গরুকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল ওই বাঘিনী। পরে গরুটির আধখাওয়া দেহ উদ্ধার হয়। পোষ্যের মালিক এবং তাঁর দুই সহযোগী গরুটির শরীরে বিষ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। পরে আবার যখন বাঘিনী এবং তার শাবকেরা সেই গরুটি খায়, তার পরই তারা সকলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। জঙ্গলে বাঘিনী এবং তার চার শাবকের দেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার বাঘিনী এবং তার শবকদের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বন দফতরে হুলস্থুল পড়ে যায়। মালে মাহধেশ্বর পাহাড়ের হুজিয়াম ফরেস্ট রেঞ্জের এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে বন দফতর। পাঁচটি বাধের একসঙ্গে মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যে হুলস্থুল পড়ে যায়। তদন্তে নেমে বন দফতর জানতে পারে, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বাঘিনী এবং তার শাবকদের। কিন্তু কী ভাবে বিষক্রিয়া হল সেই উত্তরের খোঁজ চালাচ্ছিলেন বন দফতরের আধিকারিকেরা। যেখান থকে বাঘিনী এবং সেটির শাবকদের দেহ উদ্ধার হয়, তার কিছু দূরেই একটি গরুর দেহ দেখতে পান তাঁরা। সেখান থেকেই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। গরুর মাংসের পরীক্ষা করতেই জানা যায় প্রাণীটির গায়ে বিষ ছড়ানো হয়েছিল। আর সেটির মাংস খেয়েই বাঘিনী এবং তার শাবকদের মৃত্যু হয়।
তদন্তে জানা যায়, গরুটি মাদারাজু নামে এক ব্যক্তির। তাঁর পোষ্যকে বাঘে টেনে নিয়ে যাওয়ায় ‘প্রতিশোধ’ নিতেই এ কাজ করেছেন বলে দাবি বন দফতরের। মাদারাজু এবং তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।