বিয়ে ঠিক হয়েছে তাঁর। কিন্তু এখন তাঁর ঠিকানা তিহাড় জেল। অবশেষে বিয়ের কারণেই প্যারেলে পাঁচ ঘণ্টার জন্য ছাড়া পেলেন কুখ্যাত তিল্লু গ্যাংয়ের সদস্য অমিত ওরফে দাবাং! শুক্রবারই তাঁর বিয়ের আসর বসবে নরেলার তাজপুর গ্রামে।
তাজপুর গ্রাম তিল্লু গ্যাংয়ের শক্তঘাঁটি। আর সেখানে দলের সদস্যের বিয়েতে গ্যাংয়ের অনেকেই থাকবেন, তা বলাই বাহুল্য। তাই যে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গ্রামটিকে। সূত্রের খবর, জেল থেকে সরাসরি অমিতকে বিয়ের মণ্ডপে নিয়ে যাওয়া হবে।
২০২০ সালে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল অমিতকে গ্রেফতার করেছিল। তবে গ্রেফতারের আগে পর্যন্ত তিল্লু গ্যাংয়ের অত্যন্ত সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি। তাঁর খোঁজে দু’লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিশ। বর্তমানে তিহাড়ের ৩ নম্বর সেলেই তাঁর দিন কাটে।
কুখ্যাত এই গ্যাং তৈরি হয়েছিল তিল্লু তাজপুরিয়া ওরফে সুনীল মানের হাতে। ২০২১ সালে ২৪ সেপ্টেম্বর দিল্লির রোহিণী আদালতে বন্দুক নিয়ে হামলা চালানোর ঘটনায় প্রধান ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন তিল্লু। এই হামলায় আদালতেই মৃত্যু হয় গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগীর। রোহিণী আদালতের ভিতরে আইনজীবীদের পোশাক পরে থাকা তিল্লু গ্যাংয়ের দুই সদস্য গোগীকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। তিল্লু গ্যাংয়ের চালানো ১৮টি গুলি লাগে গোগীর শরীরে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। সেই মামলার সূত্র ধরে পুলিশ তিল্লুকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন:
২০২৩ সালে তিহাড় জেলেই গোগী গ্যাংয়ের সদস্যদের হাতে খুন হন তিল্লু। তাঁর খুনের প্রতিশোধ নিতে গোগী গ্যাংয়ের এক সদস্যকে হত্যার পরিকল্পনা করার অভিযোগ উঠেছিল অমিতের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও, ২০১৮ সালে গোগীর ঘনিষ্ঠ এক সহযোগী মনু নেপালিকে খুনের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অমিতের ভাই মোহিতও তিল্লু গ্যাংয়ের সদস্য। তিল্লুর মৃত্যুর পর মোহিত আত্মহত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ।