Advertisement
E-Paper

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ডেরেকের নেতৃত্বে রবিবার অসম যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল

তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। ওই দলের বাকি সদস্যেরা হলেন নাদিমুল হক, মমতাবালা ঠাকুর এবং মহুয়া মৈত্র। যদিও মহুয়ার শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। প্রয়োজনে তাই প্রতিনিধি দলে রদবদল করা হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:৩৬
গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

অসমে গণহত্যার পর এ রাজ্যে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি অসমে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। আগামী রবিবার ৪ নভেম্বর সেই প্রতিনিধি দল অসমে পৌঁছবে।

তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। ওই দলের বাকি সদস্যেরা হলেন নাদিমুল হক, মমতাবালা ঠাকুর এবং মহুয়া মৈত্র। যদিও মহুয়ার কিছু অসুস্থতা রয়েছে। তাই প্রয়োজনে প্রতিনিধি দলে রদবদল করা হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।

তিনসুকিয়া গণহত্যা ঘিরে এই মুহূর্তে অসম জুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। জঙ্গিদের খোঁজে অসম-অরুণাচল সীমানায় শুরু হয়েছে সেনা অভিযান। ভারত-মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে যাতে জঙ্গিরা পালিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য অভিযানে নেমেছে আসাম রাইফেলসও। নাগরিক পঞ্জি ইস্যু নিয়ে উত্তপ্ত অসমে আগুনে ঘি ঢেলেছে এই গণহত্যার ঘটনা। অসমের বিভিন্ন অংশে চলছে ঘোষিত ও অঘোষিত বন্‌ধ, পথ অবরোধ, মশাল মিছিল।

আরও পড়ুন: এক্সক্লুসিভ: অসমের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে মমতার উস্কানিতেই, বললেন অনুপ চেতিয়া

ওই গণহত্যা কারা ঘটিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক ভাবে আলফাকে সন্দেহ করা হলেও, এই ঘটনায় তাঁরা যুক্ত নন বলে জানিয়েছে আলফার পরেশ বরুয়া গোষ্ঠী। দায় ঝেড়ে ফেলেছে আলফার আলোচনাপন্থী অংশও। উল্টে অসমের পরিস্থিতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিকেও দায়ী করেছে তারা।

আরও পড়ুন: শহরে তিন বিক্ষোভ মিছিল ‘সোমেন মিত্রের নির্দেশে’, আলাদা মিছিলে অধীর

তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে, নাগরিক পঞ্জির তালিকা তৈরির সময় থেকেই অসম পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছিল। অগস্টের শুরুতেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দলও পাঠিয়েছিল তারা। যদিও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে শিলচর বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়েছিল ওই দলকে। দলীয় প্রতিনিধিদের অসমের মাটিতে নামতে না দেওয়ার ঘটনাকে সেই সময় সুপার এমার্জেন্সি বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের অসমে প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্তকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)

Tinsukia Massacre Assam Killing TMC TMC Representatives Legislative Team
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy