Advertisement
E-Paper

মৃত মায়ের পাশে ঘুমিয়ে পড়ল শিশু

এই ভাবেই কোনও মতে হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে নিজেকে টেনে এনেছিলেন মহিলা। মৃত্যু তখন মাত্র আধ ঘণ্টা দূরে। চিকিত্সকদের চেষ্টা সত্ত্বেও যখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে মা, পাশে ক্লান্ত শরীরে তত ক্ষণে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়েছে ছেলে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৩:০৭
এ ভাবেই মায়ের দেহের পাশে ঘুমিয়ে পড়ে ছেলে।

এ ভাবেই মায়ের দেহের পাশে ঘুমিয়ে পড়ে ছেলে।

শ্বাস চলছে কোনও মতে। দু’-পা প্রায় অসাড়। অবলম্বন বলতে পাঁচ বছরের একরত্তি শিশু।

এই ভাবেই কোনও মতে হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে নিজেকে টেনে এনেছিলেন মহিলা। মৃত্যু তখন মাত্র আধ ঘণ্টা দূরে। চিকিত্সকদের চেষ্টা সত্ত্বেও যখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে মা, পাশে ক্লান্ত শরীরে তত ক্ষণে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়েছে ছেলে। হোক না নিথর, তবু তো মায়ের শরীরের স্পর্শেই ঘুম।

সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ এ ভাবেই শেষ মুহূর্তে মাকে নিয়ে হায়দরাবাদের ওসমানিয়া জেনারেল হাসাপাতালের জরুরি বিভাগে এসেছিল ছেলেটি। মহিলাকে বাঁচাতে না পেরে পুলিশে খবর দেন চিকিত্সকরাই। সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক কেউ না থাকায় হেল্পিং হ্যান্ড ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দ্বারস্থ হন হাসপাতালের কর্মীরা। ছেলের কাছ থেকেই পাওয়া যায় মৃত মহিলার আধার কার্ড। জানা যায় তিনি সমিনা সুলতানা, পেশায় নির্মাণকর্মী।

আরও পড়ুন: ছাত্রীর পাশে বসে ভরা বাসে হস্তমৈথুন!

হেল্পিং হ্যান্ড ফাউন্ডেশনের সদস্য মুজতবা হাসান আসকরি জানান, তিন বছর আগেই সুলতানাকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন স্বামী। রাজেন্দ্রনগরে কোনও এক পুরুষের সঙ্গে থাকলেও তিনিও হয়তো তাঁকে হাসপাতালের বাইরে ছেড়েই চলে গিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: দত্তক নেওয়া ছেলের হিন্দু মতে বিয়ে দিল মুসলিম পরিবার

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অবশেষে মৃত্যুর ১৮ ঘণ্টা পর জাহিরবাদে সুলতানার বাবা-মায়ের হাতে দেহ তুলে দেন হেল্পিং হ্যান্ড ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। শিশুটিকে তাঁর মামার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

Hospital Hyderabad Cardiac Arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy