প্রতীকী ছবি।
সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনের শেষ সপ্তাহ। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ইঙ্গিত দিচ্ছে, গোটা অধিবেশনের উত্তপ্ত মেজাজের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শেষ সপ্তাহেও সংঘাত চলবে।
বিরোধী ঐক্যের ছবি সামনে আনতে চেয়ে আজ সকালেই একটি ভিডিয়ো টুইট করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। সেখানে লেখেন, ‘‘আমাদের কথা শুনতে মোদী আসুন।’’ ভিডিয়োটিতে রাজ্যসভার বিভিন্ন বিরোধী নেতার সংসদে বক্তব্যের ছোট ছোট শট রাখা হয়েছে। পরে ভিডিয়োটি রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খড়্গেও নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করেছেন। সঙ্গে লিখেছেন, ‘‘মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্নায়ুবিপর্যয় ঘটেছে। সংসদে কেন তিনি প্রশ্নের উত্তর দিতে চাইছেন না? বিরোধীরা সংসদে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু সরকার অচলাবস্থা বহাল রেখেছে, যাতে সত্য সামনে না চলে আসে।’’
পেগাসাস-কাণ্ড, কৃষি আইন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং দিল্লিতে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে রাজ্যসভায় সরব বিরোধী নেতাদের দেখা যাচ্ছে ওই ভিডিয়োটিতে। পৃথক পৃথক ভাবে রয়েছেন, কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খড়্গে, দীপেন্দ্র সিংহ হুডা, শিবসেনার প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী, সিপিএমের ঝর্না দাস বৈদ্য, কে সোমাপ্রসাদ, আরজেডি-র মনোজ কুমার ঝা, এনসিপি-র বন্দনা চহ্বাণ, আপের সুশীল কুমার গুপ্ত প্রমুখ সাংসদেরা। আজ ডেরেক বলেন, ‘‘মোদী সরকার সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিবর্তে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে। তারা সংসদে কার্যত কোনও আলোচনা ছাড়াই একের পর এক বিল পাশ করাচ্ছে। পঁচিশটি বিল পাশ করানো হয়েছে, গড়ে প্রত্যেকটির জন্য সময় দেওয়া হয়েছে দশ মিনিট করে। সংসদ শুরু হওয়ার পরে আর নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহকে দেখা যায়নি। আমরা শেষ সপ্তাহের জন্য আমাদের সংসদীয় কৌশল তৈরি করছি। তবে পেগাসাস নিয়ে আলোচনা করতে না দেওয়া হলে এবং মোদী-শাহ তাতে অংশ না নিলে আমরা সংসদ চলতে দেব না।’’
শেষ সপ্তাহে সরকারের তরফ থেকে আনা হবে ওবিসি চিহ্নিত করার ক্ষমতা রাজ্যের হাতে রাখতে সংবিধান সংশোধনী বিল। যেহেতু এটি সংবিধান সংশোধনী বিল তাই ধ্বনি ভোটে, কক্ষে চেঁচামেচির মধ্যে তা পাশ করানো যাবে না। কক্ষে উপস্থিত থাকতে হবে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যকে এবং ভোটাভুটির মাধ্যমে তা পাশ করাতে হবে। যে হেতু বিলটি রাজ্যের ক্ষমতায়নের কথাই বলছে, তাই এটি পাশ করাতে বিরোধীরা সহযোগিতা করবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হবে নেতাদের মধ্যে। ডেরেক আজ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বিলটি এখনও কোনও কক্ষে তালিকাভুক্ত করা হয়নি। ফলে যখন করা হবে, তার পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy