ছবি: সংগৃহীত।
কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয় নয়, বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুযুধান ভঙ্গিতেই দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রসকে। সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইউপিএ-র আর অস্তিত্ব নেই বলে দাবি করার পরে তীব্র পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। শুক্রবার সেই সূত্র ধরেই তৃণমূলকে একঘরে করার চেষ্টা করল কংগ্রেস।
ত্রিপুরায় পুরভোটে রিগিংয়ের অভিযোগে এ দিন রাজ্যসভায় চেয়ারম্যানের কাছে আরজেডি, বাম, এনসিপি, ডিএমকে, আপ-কে সঙ্গে নিয়ে আলোচনার নোটিস দিয়েছে কংগ্রেস।
এ বিষয়ে তৃণমূলের কাছে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে, দলের রাজ্যসভার সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “কংগ্রেস আমাদের ডাকল কি ডাকল না, তাতে কিছু যায় আসে না। কংগ্রেস ত্রিপুরায় বিপর্যয়ের গ্লানি এড়াতেই সংসদে এই সব করছে। পুরভোটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমরা সে রাজ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। আগামী বিধানসভা ভোটের পরে ক্ষমতায় আসব।”
ত্রিপুরা সংক্রান্ত নোটিসে এই ঘটনা কিংবা সংসদের বাইরে বাগযুদ্ধে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে দূরত্ব স্পষ্ট ফুটে উঠলেও, বিভিন্ন বিষয়ে একযোগে ধর্নায় যে আপত্তি নেই, তা দু’দিন ধরেই বলে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ১২ জন সাসপেন্ড সাংসদের সঙ্গে আজও ধর্নায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন বিরোধী দলের সাংসদকে।
তবে আজ সকালে একটি অভিনব দৃশ্য দেখা গিয়েছে ওই ধর্নাস্থলে। যেখানে বিরোধী নেতারা ধর্না দিচ্ছিলেন, সেখানে প্ল্যাকার্ড হাতে চলে আসেন রাজ্যসভার বেশ কিছু বিজেপি সাংসদ! স্লোগান, ‘সংবিধান বাঁচাও’! বেশ কিছু ক্ষণ মুখোমুখি চলে সেই ধর্না এবং পাল্টা ধর্না। পরে বিজেপির রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গয়াল বলেন, “(সংসদের সমস্যা) কী করে মিটমাট হবে, যখন শাস্তিপ্রাপ্ত সাংসদেরা ক্ষমা চাইছেন না?” চেয়ারের উদ্দেশে বলেন, “আপনার কাছ থেকে বুঝতে চাই, বিরোধীরা আমাদের কাছে ঠিক কী প্রত্যাশা করেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy