প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীদের অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিলগুলি গতকাল লোকসভায় পেশের পরেই সংসদীয় যৌথ কমিটির কাছে পাঠানোর প্রস্তাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজও প্রবল হট্টগোলের মধ্যে রাজ্যসভায় বিলগুলি যৌথ কমিটির কাছে পাঠানোর প্রস্তাব পাশ করিয়ে নেন শাহ। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, বিলটি সুপ্রিম কোর্টে গেলে খারিজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকায়, সংসদীয় কমিটিতে আপাতত দলের কাউকে পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে না। তা ছাড়া, তিনটির মধ্যে একটি সংবিধান সংশোধনকারী বিল। যা পাশের প্রশ্নে সংসদের উভয় কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন নেই মোদী সরকারের।
শাসক শিবিরের পাল্টা দাবি, এটি অত্যন্ত সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিল। মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, ‘‘যেখানে ভারতের অন্য প্রধানমন্ত্রীরা নিজেদের বাঁচানোর জন্য আইন করেছেন, সেখানে মোদী নিজেকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছেন।প্রধানমন্ত্রীর কথায়, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। প্রধানমন্ত্রীও নন। দেশের মানুষ তাই খুশি।’’ কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির কটাক্ষ, ‘‘কোনও পুলিশ প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে যাবে? এটা বিশ্বাসযোগ্য! এটা আসলে জনতার বুদ্ধি-বিবেচনাকে অপমান করা।’’ এ দিকে বিরোধীদের লক্ষ্য করে বিল আনার অভিযোগের প্রশ্নে রিজিজু বলেন, ‘‘আদালত তো রয়েছে। গ্রেফতারির ৩০ দিনের মধ্যেই জামিন পেলেই মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে না।’’
ভোটে কারচুপির প্রশ্নে এ বারের বাদল অধিবেশন কার্যত ধুয়ে গিয়েছে। রিজিজুর মতে, ‘‘সরকারের ক্ষতি হয়নি। সরকার দু’টি কক্ষ মিলিয়ে মোট ১৫টি বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে। কিন্তু বিরোধী সাংসদেরা নিজেদেরসমস্যার কথা তুলতে পারেননি।’’ গতকাল বিতর্কিত বিলগুলি পেশের সময়ে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল-সহ বিরোধী সাংসদেরা হাতে পাথর নিয়ে স্পিকারের টেবিলে আঘাত করছিলেন বলে অভিযোগ রিজিজুর।তবে ওই সাংসদদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলেজানিয়েছে সরকার। স্পিকার ওম বিড়লার কথায়, বিরোধীদের আত্মসমীক্ষা প্রয়োজন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)