লোকসভার পর আজ রাজ্যসভাতেও নরেন্দ্র মোদী সরকারকে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর নিয়ে নিশানা করল তৃণমূল। নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে আলোচনায় বলতে উঠে দলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন তাঁর বক্তৃতাকে কার্যত বিধানসভা ভোটের বক্তৃতায় পরিণত করেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আসনে থাকা রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ বারবার তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই ঝড়ের বেগে রাজ্যের বঞ্চনা থেকে এসআইআর— নানা বিষয় বলে গিয়েছেন দোলা।
দোলার কথায়, “নোটবন্দির পর ভোটবন্দি করে মানুষকে মারছে মোদী সরকার এবং এ বার তাদের লক্ষ্য বাংলা। আসলে এসআইআর-এর নামে যেটা হচ্ছে, তা রক্তপাতহীন রাজনৈতিক গণহত্যা ছাড়া কিছু নয়। ভোটের আগে কারও নাম যেন ভোটার তালিকা থেকে বাদ না যায়, সেটা নির্বাচন কমিশনের দেখার কথা। কিন্তু যেখানে মানুষকেই নির্বাচন কমিশনের সামনে প্রমাণ করতে হচ্ছে তাঁদের নাগরিকত্ব! তা হলে বোঝা যাচ্ছে পুরোটাই অভিসন্ধিমূলক।” তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরে এসআইআর করা হয়নি। বাংলায় তারা হারবে, এটা জেনে সেই ভয়েই শেষ চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। অনুপ্রবেশ যদি আদৌ হয়, তবে তার দায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। দোলার চ্যালেঞ্জ, যদি তালিকায় ভুল থাকে, তা হলে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটও বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন করে দেখাক বিজেপি।
অন্য দিকে রাজ্যসভায় আপ-এর দলনেতা সঞ্জয় সিংহের বক্তব্য, বিহারে অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বিরাট আওয়াজ তুলে মাত্র ৩১৫ জন বিদেশি নাগরিককে খুঁজে পেয়েছিল নির্বাচন কমিশন! তার মধ্যে ৭৮ জন মুসলমান, বাকিরা নেপালি হিন্দু। পাশাপাশি কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন দিয়েছেন একটি নতুন তথ্য। তাঁর বক্তব্য, ২০১৪ সালের পর থেকে ভোটের ময়দানে সব দল এক অবস্থানে থাকতে পারছে না। যে পরিমাণ টাকা বিজেপি তুলছে, তার ধারেকাছে কেউ থাকতে পারছে না। তাঁর দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ সালে কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল ৩৯০ কোটি টাকা, বিজেপি-র ছিল ২৯৫ কোটি। কিন্তু দশ বছর পর, অর্থাৎ ২০২৪ সালে কংগ্রেসের রয়েছে ১৩৩ কোটি টাকা। সেখানে বিজেপি-র অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা রয়েছে ১০,১০৭কোটি টাকা!
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)